মোদী সরকার যখন ভারতীয় অর্থনীতি দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে বলে দাবি করছে, ঠিক তখনই ছন্দপতন।
প্রত্যাশার উল্টো দিকে হেঁটে এপ্রিলে দেশে শিল্পবৃদ্ধির হার শ্লথ হয়ে থমকে গেল মাত্র ২.৭ শতাংশে। বুধবার জাতীয় পরিসংখ্যান দফতরের (এনএসও) প্রকাশিত হিসাব জানাল, কল-কারখানা, খনন এবং বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের মন্থর উৎপাদন এর জন্য দায়ী। ফলে প্রশ্ন উঠছে, শিল্পের এমন অবস্থা কেন? কেন্দ্রের বার্তা অনুযায়ী দেশের আর্থিক কর্মকাণ্ড বাড়লে, শিল্পোৎপাদনের চোখে পড়ার মতো বৃদ্ধি হওয়ার কথা। গত বছরের এপ্রিলে শিল্পবৃদ্ধির হার ছিল ৫.২%। গত মার্চে তা কম হলেও ৪ শতাংশের কাছাকাছি (৩.৯%) পৌঁছেছিল। এপ্রিলে গত ফেব্রুয়ারির পুনরাবৃত্তি ঘটে ফের তা এতটা নীচে নামল।
অর্থনীতিবিদ অজিতাভ রায়চৌধুরীর দাবি, কারখানায় উৎপাদন মূলত নির্ভর করে দেশের চাহিদার উপর। ভারতে সেই চাহিদাই শ্লথ হয়েছে। যা শিল্পবৃদ্ধির পিছলে যাওয়ার কারণ। পটনা আইআইটি-র অর্থনীতির অধ্যাপক রাজেন্দ্র পরামানিকের মতে, চাহিদা এবং লগ্নি বাড়াতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের সুদের হার আরও কমানো দরকার।
আইসিএআই-এর পূর্বাঞ্চলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অনির্বাণ দত্ত বলেন, ‘‘আইএমএফের পূর্বাভাস, এ বছরের শেষে ভারত বিশ্বে চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির তকমা পেতে পারে। কিন্তু কল-কারখানা, খনন এবং বিদ্যুতের মতো তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রের উৎপাদন তেমন ইঙ্গিত দিচ্ছে না। বরং সেগুলির বৃদ্ধির হার কমে যাওয়া থেকে স্পষ্ট রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক টানা দু’বার সুদের হার কমালেও, চাহিদা এখনও তেমন বাড়েনি। ফলে আগে কেনাকাটা বাড়াতে হবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)