কল-কারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধি, বাড়তি খনিজ উত্তোলন এবং মূলধনী পণ্যের চাহিদা বাড়া। মূলত এই তিন কারণে ভর করেই গত ফেব্রুয়ারিতে ৫% ছাড়িয়েছে শিল্প বৃদ্ধির হার। ন’মাসের মধ্যে যা সবচেয়ে বেশি। শুক্রবার কেন্দ্র প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আলোচ্য মাসে কল-কারখানায় উৎপাদন (উৎপাদন শিল্প) বেড়েছে ৫.২%। যেখানে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বৃদ্ধি তো দূর, বরং সরাসরি তা কমে গিয়েছিল ৩.৯%। একই ধরনের ছবি মূলধনী পণ্যের শিল্পেও। আগের বছরের ফেব্রুয়ারিতে এই পণ্যের উৎপাদন কমেছিল ১৭.৬%। সেখানে এ বার বেড়েছে ৮.৮%।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আগামী দিনে শিল্পের গতিপথ কেমন হবে, তার আঁচ পাওয়া যায় মূলধনী পণ্যের উৎপাদন থেকে। কারণ, সাধারণ ভাবে এগুলি ব্যবহৃত হয় অন্য কোনও পণ্য তৈরির জন্যই। ফলে তার চাহিদা (এবং উৎপাদন) বাড়ার অর্থ, শিল্পপতিরা মনে করছেন, আগামী দিনে অর্থনীতিতে সার্বিক ভাবে জিনিসপত্রের চাহিদা বাড়বে। তাই তার জোগান দিতে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কোমর বাঁধছেন তাঁরা। যা অর্থনীতির উপর ভরসা ফেরারই ইঙ্গিত। তাই অনেকেই মনে করছেন, ফেব্রুয়ারিতে শিল্প বৃদ্ধির হার যে উৎপাদন শিল্প এবং মূলধনী পণ্যের উপর ভর করে ৫% টপকেছে, তা কিছুটা স্বস্তি দেবে মোদী-সরকারকে। শিল্প সূচকের উত্থানে ইন্ধন জুগিয়েছে খনন শিল্প ও ভোগ্যপণ্য শিল্পের ভাল ফলও। ফ্রিজ, টিভির মতো দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবহারের ভোগ্যপণ্যের উৎপাদন অবশ্য কমেছে।
এ দিকে সংশ্লিষ্ট মহলের ইঙ্গিত, কয়েক মাসের মধ্যে শিল্প বৃদ্ধির হার মাপার পদ্ধতি ও তার ভিত্তিবর্ষ দু’টিই বদলানোর কথা ভাবছে কেন্দ্র। কারণ, জিডিপি হিসেবের ক্ষেত্রে ওই দু’টি বিষয় সম্প্রতি বদলেছে। ফলে তার পরে শিল্প সূচকের ক্ষেত্রেও তা অবশ্যম্ভাবী বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy