বিজেপি কর্মীদের সামনে নরেন্দ্র মোদী ২০১৯ সালের ভোটের বিউগল বাজানোর দিনেই বসে গেল শিল্পের রথের চাকা। শুক্রবার প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নভেম্বরে শিল্প বৃদ্ধি নেমে গিয়েছে ০.৫ শতাংশে। গত ১৭ মাসের মধ্যে যা সব থেকে কম।
ঠিক আগের মাসে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর হিসেবে শক্তিকান্ত দাসের অভিষেকের দিনে প্রকাশিত হয়েছিল অক্টোবরের শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধির হার। ওই হার (৮.৪%) নিয়ে সে দিন শিল্পের ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করার কথা বুক বাজিয়ে বলেছিলেন অর্থ মন্ত্রকের কর্তারা। শিল্প বৃদ্ধি ৮.৫% ছিল ২০১৭ সালের নভেম্বরেও। ফলে প্রায় সমস্ত মাপকাঠিতেই গত নভেম্বরের হার কেন্দ্রের কপালে ভাঁজ ফেলার মতো।
নোটবন্দি এবং তড়িঘড়ি জিএসটি চালুর কারণে শিল্প যে ধাক্কা খেয়েছে, ঠারেঠোরে তা মানতে হয়েছে কেন্দ্রকে। ভোটের আগেও শিল্প যে তেমন ভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না, তা মোদী সরকারের পক্ষে খুব একটা ভাল খবর নয়। চিন্তা আরও বেশি এই কারণে যে, আলোচ্য মাসে শিল্প বৃদ্ধির হার গোত্তা খেয়েছে কল-কারখানায় উৎপাদন সরাসরি কমে যাওয়ায়।
হিসেব অনুযায়ী, কল-কারখানায় উৎপাদন সরাসরি কমেছে ০.৪%। যেখানে এক বছর আগে ছিল ১০.৪%। ফলে প্রশ্ন উঠছে, কারখানার উৎপাদনেই যদি গতি না ফেরে, তা হলে সেখানে কাজের সুযোগ বাড়বে কী ভাবে? একই সঙ্গে প্রশ্ন, বাজারে চাহিদায় এখনও ভাটা রয়েছে বলেই কি কারখানায় উৎপাদন বাড়াতে এখনও ভাবতে হচ্ছে সংস্থাগুলিকে?
চিন্তা বাড়াচ্ছে মূলধনী পণ্যের উৎপাদন ৩.৪% কমাও। কারণ, ভবিষ্যতে শিল্পে উৎপাদন বৃদ্ধি নিয়ে সংস্থা কতটা আশাবাদী, তার হাওয়া মোরগ হিসেবে দেখা হয় কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত মূলধনী পণ্যকে।
প্রত্যাশিত ভাবেই এই বেহাল শিল্প বৃদ্ধি নিয়ে মোদী সরকারকে বিঁধতে ছাড়েনি কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, এই পরিসংখ্যান অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে যাওয়ার আরও একটি প্রমাণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy