প্রতীকী ছবি।
আগেই সতর্ক করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ক’দিন আগের ঋণনীতি ঘোষণায় সুদ না-কমানোর কারণ হিসেবে তুলে ধরেছিল অতিমারির সঙ্কটের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়ে মাথা তুলতে থাকা মূল্যবৃদ্ধিকেই। সেই আশঙ্কা মিলিয়ে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান জানাল, জুলাইয়ে দেশের খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার ছুঁয়েছে ৬.৯৩%। যার প্রধান কারণ, মাছ, মাংস, ডাল, আনাজের মতো খাদ্যপণ্যের বাড়তে থাকা দাম। এই নিয়ে টানা দু’মাস রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা, ৪ শতাংশের (+/-২) থেকে উপরে রইল মূল্যবৃদ্ধি। আগের বছর একই মাসে এই হার ছিল ৩.১৫%। আর আগের মাস অর্থাৎ জুনে ৬.২৩% (সংশোধিত)।
একেই অতিমারি রক্তাক্ত করেছে দেশের অর্থনীতিকে, চরম ঘা বসিয়েছে রুজি-রোজগারে। আনলক পর্বের শুরুতে একটু কমলেও, শহরে-গ্রামে ফের চড়ছে বেকারত্বের হার। এই অবস্থায় মূল্যবৃদ্ধির ছোবল যে মানুষের অসন্তোষ বাড়াবে, সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই। ফলে সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এই হার চিন্তায় রাখবে কেন্দ্রকেও।
মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রার মুখ্য অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ার বলছেন, খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধি আশঙ্কার থেকে বেশি চড়া। যদিও অতি বর্ষণ ও স্থানীয় ভাবে দেশে বিচ্ছিন্ন লকডাউন চলায় খাদ্যপণ্যের দাম বাড়বে জানাই ছিল। কারণ, চাহিদা-জোগানের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বলেছে, সুদ কমানোর পথ খোলা রাখছে তারা। অপেক্ষা শুধু মূল্যবৃদ্ধির নিয়ন্ত্রণে আসার। তবে অ্যাকুইট রেটিংস অ্যান্ড রিসার্চের প্রধান বিশ্লেষক সুমন চৌধুরীর দাবি, সেই দিন আসতে আরও দেরি। বাড়বে ‘স্ট্যাগফ্লেশন’-এর (যেখানে আর্থিক বৃদ্ধির হার কমে, কিন্তু মূল্যবৃদ্ধির হার বাড়ে) ঝুঁকি। এমকে গ্লোবাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের গবেষণা বিভাগের প্রধান রাহুল গুপ্তের মত, লকডাউন শিথিল সত্ত্বেও খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এত চড়া, এটাই ভাবাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy