ব্যবসার মুখ ঘুরিয়ে বেড়েছে বড় বরাতের সংখ্যা। বেশি সংখ্যায় ঝুলিতে আসছে অধিক মুনাফার প্রকল্প। রাশ টানা সম্ভব হয়েছে কর্মীদের সংস্থা ছাড়ার হিড়িকেও। অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে কর্ণধার বিশাল সিক্কার ‘পথ বদলের’ ফসল ঘরে তুলল ইনফোসিস। দেশের অন্যতম বৃহৎ তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার ফলাফল টপকে গেল বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাসকেও।
মঙ্গলবার এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকের ফল প্রকাশ করেছে ইনফোসিস। ওই সময়ে তাদের নিট মুনাফা বেড়েছে ৫%। পৌঁছেছে ৩,০৩০ কোটি টাকায়। যা আগের বছরের একই সময় এবং বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাসের তুলনায় বেশি। আলোচ্য তিন মাসে ৭৯টি নতুন সংস্থার বরাত পেয়েছে ইনফোসিস। যার বেশ কয়েকটি মোটা অঙ্কের। ব্যবসা বেড়েছে ১২.৪%। পুরো অর্থবর্ষেও ব্যবসা তাদের নিজেদের আগের আন্দাজের তুলনায় বেশি বাড়বে বলে মনে করছে সংস্থা। এই সময়ে সংস্থা ছেড়েছেন ১৪.২% কর্মী। আগের বারের ২৩.৪ শতাংশের তুলনায় অনেকটাই কম। শেয়ার পিছু লাভ ১২.৬৩ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩.২৬ টাকা। আর এই সমস্ত কিছুর দৌলতে এ দিন এক লাফে প্রায় ১১ শতাংশ শেয়ার দর বেড়ে গিয়েছে ইনফোসিসের।
সিইও-এমডি সিক্কার দাবি, ‘‘পরিষেবায় গ্রাহক-সন্তুষ্টির উপর জোর দিয়েছি আমরা। জোর দিয়েছি উদ্ভাবনে। চেষ্টা হচ্ছে উন্নততর প্রযুক্তি সরবরাহের বরাত আদায়ের। যেখানে মুনাফা তুলনায় বেশি। আর এ সবের ফল হিসেবে আরও বেশি করে বড় অঙ্কের বরাত এসেছে ঝুলিতে।’’
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্সে পিএইচডি সিক্কার দাবি মানছেন বিশেষজ্ঞরাও। তাঁরা বলছেন, বেশি দক্ষতা লাগে, এমন কাজের মোটা অঙ্কের বরাত পাওয়াকে পাখির চোখ করছেন সিক্কা। বেশি করে ঝুঁকছেন স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি (অটোমেশন), বৈদ্যুতিন বুদ্ধি (আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স) এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির বাজার ধরতে। জার্মান তথ্যপ্রযুক্তি বহুজাতিক স্যাপ-এর প্রাক্তন কর্তার এই কৌশল বদলই ইনফোসিসের তুরুপের তাস হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে তাঁদের অভিমত।
সিক্কাকে আনার সময় প্রতিষ্ঠাতা এন নারায়ণমূর্তি বলেছিলেন, ‘‘সিক্কা মানে টাকা। বিশাল সিক্কা মানে অনেক টাকা। ইনফোসিসের যা দরকার।’’ তাঁর আস্থা ছিল, সংস্থার জন্য ব্যবসা আনতে সফল হবেন উদ্ভাবনে জোর দেওয়া প্রযুক্তির এই ভবিষ্যৎদ্রষ্টা। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই সিক্কার কৌশল বদলেই এ বার বড় বরাতের হাত ধরে প্রত্যাশা ছাপিয়েছে ইনফোসিস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy