শুধু শোধনাগারে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করে ভবিষ্যতে ব্যবসা চালানো লাভজনক না-ও হতে পারে। তাই সার্বিক পেট্রোকেমিক্যাল প্রকল্প গড়তে চাইছে দেশের তেল সংস্থাগুলি। ইন্ডিয়ান অয়েল-ও (আইওসি) পারাদীপ, পানিপথ-সহ তাদের অন্যান্য শোধনাগারের মতো হলদিয়ার শোধনাগারের সম্প্রসারণ করে সেই পথে হাঁটার পরিকল্পনা করছে। এ জন্য সংলগ্ন হিন্দুস্থান ফার্টিলাইজ়ারের (এইচএফসি) জমি ব্যবহারে আগ্রহী তারা। সম্প্রতি শোধনাগার পরিদর্শনে এসে তেল প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তেলি এ ব্যাপারে আলোচনা করেন। দীর্ঘ দিন পড়ে থাকা ওই জমি নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলারও আশ্বাস দেন।
সূত্রের খবর, হলদিয়ায় অশোধিত তেল থেকে পেট্রল, ডিজ়েল, রান্নার গ্যাস, বিমান-জ্বালানি এবং পলিমার তৈরির ন্যাপথা তৈরি করে আইওসি। এ বার তারা সার্বিক ভাবে শক্তি বা জ্বালানি সংস্থা হতে চাইছে। যেমন, ন্যাপথা থেকে ‘ক্র্যাকার’ ব্যবস্থার মাধ্যমে পলিমার তৈরি হয়, যা প্লাস্টিক-সহ পেট্রোকেমিক্যাল শিল্পের নানা ক্ষেত্রে পণ্যের কাঁচামাল। হলদিয়ায় তা না থাকায় সেই ব্যবসার সুযোগ হারিয়েছিল তারা। শিল্পের মতে, এমন বিস্তৃত পেট্রোকেম প্রকল্প হলে মুনাফাও অনেক বাড়বে। যে কারণে অতীতে হলদিয়ার শোধনাগার সম্প্রসারণের কথা ভেবেছিল আইওসি। কিন্তু এইচএফসি-র কারখানা ছাড়া সেখানে আর জমির সঙ্কুলান হওয়া কঠিন। সার কারখানাটির ১৭৫ একর রয়েছে। সেটি পেলে শোধনাগারের ক্ষমতা বৃদ্ধি ও কিছু পেট্রোকেমিক্যাল প্রকল্প গড়া যাবে, দাবি সূত্রের। তেলি এইচএফসি-র জমির তথ্য চেয়েছেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)