মে মাসে দেশের খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধির হার ২.৭৪ শতাংশে নেমেছে। যা ছ’বছরের সর্বনিম্ন। একই পথে হেঁটে পাইকারি বাজারের মূল্যবৃদ্ধিও ০.৩৯ শতাংশে নামল। যা গত মাসে ০.৮৫% ছিল। সোমবার কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, মূলত খাদ্যশস্য এবং জ্বালানির দাম কমার ফলেই পাইকারি বাজারের দর নেমেছে। তবে সংশ্লিষ্ট মহল কিছুটা দুশ্চিন্তায়। ইজ়রায়েল-ইরান যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম মাথাচাড়া দিচ্ছে। ডলারের নিরিখে কিছুটা শক্তি হারিয়েছে ভারতীয় মুদ্রা। এই পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হলে আগামী দিনে মূল্যবৃদ্ধির হার ফের মাথা তোলার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।
এ দিন কেন্দ্রের প্রকাশ করা পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, আনাজ (-২১.৬২%), আলু (-২৯.৪২%), পেঁয়াজ (-১৪.৪১%), ডাল (-১০.৪১%)-সহ বিভিন্ন খাদ্যশস্যের দাম সরাসরি কমেছে। জ্বালানির দাম কমেছে ২.২৭%। তবে তৈরি খাদ্যপণ্য, বিদ্যুৎ, রাসায়নিক, পরিবহণ যন্ত্রপাতি-সহ বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। পাইকারি বাজার দরকে শূন্যের উপরে রেখেছে তারাই। গত বছরের মে মাসে অবশ্য পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হার ২.৭৪% ছিল।
মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রা-র বক্তব্য, গত ঋণনীতিতে শীর্ষ ব্যাঙ্ক চলতি অর্থবর্ষে মূল্যবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৪% থেকে ৩.৭ শতাংশে নামিয়েছে। কিন্তু তেলের দাম নতুন করে বাড়ছে। এ দিন ব্যারেল প্রতি ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ঘোরাফেরা করেছে ৭০ ডলারের আশেপাশে। দিন কয়েক আগে আবহাওয়া দফতর দ্রুত বর্ষা ঢোকার পূর্বাভাস দিলেও, ১৫ জুন পর্যন্ত দেশে বৃষ্টিপাত গড়ের তুলনায় ৩১% কম। এই পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হলে মূল্যবৃদ্ধি বাড়তে পারে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)