প্রথমে বকেয়া বেতন না মিললে আজ, সোমবার থেকে পাইটলদের কাজ বন্ধের হুমকি। আর রাতে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার। রবিবার এ ভাবেই দোলাচলে দুলল জেট এয়ারওয়েজ।
আর্থিক হাল পর্যালোচনার জন্য আজ সংস্থার পর্ষদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে ঋণদাতারা। এই মুহূর্তে যাদের হাতে রয়েছে জেটের রাশ। সংস্থার পাইলটদের সংগঠন ন্যাশনাল এভিয়েটর্স গিল্ড (ন্যাগ) জানিয়েছে, প্রায় তিন মাস বেতন না পেলেও, এই বৈঠকের কথা মাথায় রেখে কাজ বন্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হচ্ছে। তবে আজ মুম্বইয়ে ন্যাগের সমস্ত সদস্য মিলিত হচ্ছেন।
সূত্রের খবর, সোমবারের পরে ধুঁকতে থাকা সংস্থাটিতে ১,০০০ কোটি টাকা ঢালতে পারে স্টেট ব্যাঙ্ক। ৭ মের পরে নতুন লগ্নিকারীর নাম জানা যাবে। তত দিন কী ভাবে এই টাকা ব্যবহার করা হবে তার সবিস্তার পরিকল্পনা ব্যাঙ্কের কাছে জমা দিতে হবে জেটকে। ব্যাঙ্ক সন্তুষ্ট হলে টাকা দেওয়া হবে। তা দিয়ে পাইলট, ইঞ্জিনিয়ার ও সংস্থার অন্য কর্মীদের বকেয়া বেতনের একাংশ মেটানো যাবে বলে ধারণা।
অনেকে যদিও বলছেন, এই মুহূর্তে দেশের আকাশে জেটের মাত্র ৬-৭টি বিমান চলছে। তার জন্য ১০০ জনের বেশি পাইলটের প্রয়োজন নেই। ন্যাগের সদস্য সংখ্যা ১,১০০, যাঁরা কাজ বন্ধের হুমকি দিয়েছেন। তার বাইরেও ২৫০-৩০০ জন ম্যানেজমেন্ট পাইলট রয়েছেন। যাঁরা কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন না। প্রায় ৩০০ জন বিদেশি পাইলটও রয়েছেন। ফলে, ক্ষুব্ধ পাইলটদের বড় অংশ কাজে না এলেও, পরিষেবায় অসুবিধা হবে না।
এ দিকে জেটে এই অবস্থার জন্য ভুগছেন সাধারণ যাত্রীরা, যাঁরা অনেক দিন আগে টিকিট কেটেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, উড়ান কবে বাতিল হচ্ছে, সে জন্য কী ক্ষতিপূরণ মিলবে, সংস্থা তা স্পষ্ট জানাচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে বিমান সচিব জানিয়েছেন, জেটকে বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy