বেশিরভাগ বিমান হাতছাড়া। নিয়ে নেওয়া হয়েছে বিমানবন্দরের অফিস ও ব্যস্ত সময়ের স্লটও। ২২,০০০ কর্মীর মধ্যে প্রায় অর্ধেক চাকরি নিয়ে অন্য সংস্থায় চলে গিয়েছেন। এই ধরনের হাজারো অসুবিধাকেই এখন ‘সুবিধা’ হিসেবে দেখতে চাইছেন পরিষেবা স্থগিত হয়ে যাওয়া উড়ান সংস্থা জেট এয়ারওয়েজের কর্তৃপক্ষ।
কী রকম?
সংস্থার এক কর্তা বলছেন, ‘‘পরিষেবা নতুন করে শুরু করার আগে খরচ অনেকটাই ছাঁটাই করতে হত। বিশাল কর্মী সঙ্কোচনের আর প্রয়োজন হবে না। টাকা দিতে হচ্ছে না স্লট, অফিস, টিকিট কাউন্টারের জন্যও। দেনার পরিমাণ বাড়ছে না। এই বিষয়গুলিকে বিনিয়োগকারীরা ইতিবাচক বলে মনে করতে পারেন।’’
কিন্তু এখনও পর্যন্ত কতটা আগ্রহ দেখা যাচ্ছে সম্ভাব্য লগ্নিকারীদের মধ্যে? ওই কর্তা জানাচ্ছেন, জেটের অন্যতম অংশীদার এতিহাদ যতটা বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করবে বলে ভাবা হয়েছিল, ততটা সাড়া তাদের দিক থেকে পাওয়া যায়নি। দেনা কমানোর ব্যাপারে শর্ত আরোপ করেছে তারা। রাজি নয় ২৪ শতাংশের বেশি অংশীদারি রাখতেও। দ্বিতীয় দফায় ডারউইন, আদিগ্রো, হিন্দুজাদের সঙ্গে কথা শুরু হয়েছে। জেটের ঋণ এখন ৮,০০০ কোটি টাকার কাছাকাছি। মনে করা হচ্ছে ১২,০০০-১৪,০০০ কোটি টাকার পুঁজি পেলে দেনা মিটিয়ে নতুন করে শুরু করা যাবে। লগ্নিকারীরা দলগত ভাবে এগোলে এই টাকা সহজেই বিনিয়োগ করা যাবে বলে মনে করছেন জেট কর্তৃপক্ষ। পুঁজি আসার পরে পরিষেবা চালু করতে তিন-চার সপ্তাহ লাগতে পারে বলে ধারণা তাঁদের।
কিন্তু মাসের পর মাস বেতন না পেয়ে বাকি কর্মচারীরা কত দিন লড়াইটা চালাতে পারবেন, সন্দেহ দানা বাঁধছে সে ব্যাপারেও। কলকাতায় সংস্থার এক অফিসার জানিয়েছেন, মার্চ থেকে বেতন বন্ধ। উড়ান না থাকলেও এ মাসের গোড়া পর্যন্ত ডিউটির নিয়ম মেনে সবাই বিমানবন্দরে গিয়ে অফিসে বসেছেন। এখন তা-ও বন্ধ। তাঁর কথায়, ‘‘মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন কর্মীরা। দিনের মধ্যে অনেকটা সময় একসঙ্গে থাকলে তা-ও মানসিক শক্তি পাওয়া যাচ্ছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy