আর্তি: সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে জেট কর্মীদের অবস্থান। রয়টার্স
জেট এয়ারওয়েজের মরিয়া কর্মীরা এ বার নিজেরাই সংস্থার কর্তৃত্ব হাতে নিতে চাইছেন।
১৭ এপ্রিল জেটের পরিষেবা স্থগিত হয়ে যাওয়ার পরে কেটে গিয়েছে ১২ দিন। স্টেট ব্যাঙ্কের নেতৃত্বাধীন যে ঋণদাতাদের গোষ্ঠীর সংস্থাটিতে বিনিয়োগ করার কথা ছিল, তারা এখনও পর্যন্ত টাকা ঢালেনি। লগ্নির জন্য বিভিন্ন সংস্থার থেকে যে আগ্রহপত্র চাওয়া হয়েছিল, তাতে কেমন সাড়া মিলবে তা এখনও পরিষ্কার নয়। বলা হচ্ছে, ১০ মে-র মধ্যে ছবিটা স্পষ্ট হবে। সূত্রের খবর, তার মধ্যে যদি বিনিয়োগকারীর সন্ধান পাওয়া যায় তা হলে স্টেট ব্যাঙ্ক অন্তর্বর্তীকালীন পুঁজি দেবে। ফের চালু হবে পরিষেবা। বেতন পাবেন কর্মীরা।
কিন্তু এ সবের উপরে জেটের কর্মীরা আর ভরসা রাখতে পারছেন না। দু’তিন মাসের বেতন না পেয়ে তাঁদের পিঠ কার্যত দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এক কর্মীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। ফলে তাঁরা নিজেরাই বিনিয়োগকারী খুঁজতে রাস্তায় নেমে পড়েছেন। কর্মীদের একাংশের কথায়, ‘‘বাইরের কারও উপরে আর আমরা ভরসা করতে পারছি না। আমরা জানি সংসার চালাতে এই সংস্থাকে বাঁচিয়ে রাখা কতটা জরুরি।’’
এ ভাবে উড়ান সংস্থাকে বাঁচানোর উদাহরণ এই প্রথম নয়। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, নব্বইয়ের দশকের গোড়ায় আমেরিকার ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সও ডুবতে বসেছিল। তখন কর্মীরা একই ভাবে সংস্থার রাশ নিজেদের হাতে নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছিলেন।
এখন জেটের রাশ স্টেট ব্যাঙ্কের হাতে। সোমবার তাদের চিঠি দিয়ে দু’টি কর্মী ইউনিয়নের তরফে কর্তৃত্বের রাশ হাতে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, সে জন্য টাকা কোথা থেকে আসবে?
সোমবার কলকাতায় এক পাইলটের দাবি, দেশ-বিদেশের কিছু লগ্নিকারীর সঙ্গে তাঁদের প্রাথমিক কথা হয়েছে। বেশ কয়েক জনের কাছ থেকে ৩,০০০ কোটি টাকা পাওয়ার আশ্বাস মিলেছে। সেই টাকার পরিবর্তে তাদের সংস্থার শেয়ার দেওয়া হবে। পাশাপাশি কর্মীরাও শেয়ার কিনবেন। ওই পাইলট জানান, আগামী দিনে কর্মীদের বেতনের একাংশ দিয়েও শেয়ার কেনা যেতে পারে। এ ভাবে আসতে পারে ৪,০০০ কোটি।
তবে দুই কর্মী সংগঠনের আবেদন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। কারণ, জেটে বিনিয়োগের প্রস্তাব পাঠানোর শেষ দিন ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy