Advertisement
E-Paper

চুক্তি নিয়ে ক্ষুব্ধ বামেরা, ধর্মঘটের ডাক চটকলে

রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের বক্তব্য, বাম আমলে চটশিল্পে ত্রিপাক্ষিক চুক্তির সময়ে শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার বিষয়টি ভাবা হত না। তাঁরা শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা করেই চুক্তির খসড়াটি করেছেন। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে চটকল খোলা রেখে শ্রমিকদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মলয়বাবু।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৯ ০৩:৪৬

মজুরি বৃদ্ধি সংক্রান্ত ত্রিপাক্ষিক চুক্তির বিরোধিতা করে আজ, শুক্রবার রাজ্য জুড়ে চটকলগুলিতে ধর্মঘটের ডাক দিল সিটু-সহ বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনগুলি। চটশিল্পের সঙ্গে যুক্ত আড়াই লক্ষ শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির যে দাবি করা হয়েছিল, তা ওই চুক্তিতে মানা হয়নি বলে অভিযোগ করেছে তারা। বুধবার রাতে ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে সই করেছে বাকি সমস্ত শ্রমিক সংগঠন।

রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের বক্তব্য, বাম আমলে চটশিল্পে ত্রিপাক্ষিক চুক্তির সময়ে শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার বিষয়টি ভাবা হত না। তাঁরা শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা করেই চুক্তির খসড়াটি করেছেন। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে চটকল খোলা রেখে শ্রমিকদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মলয়বাবু। শ্রমমন্ত্রীর অভিযোগ, লোকসভা ভোটের আগে চটশিল্পে বিশৃঙ্খলা তৈরি করার উদ্দেশ্যেই বাম শ্রমিক সংগঠনগুলি এই পদক্ষেপ করছে। তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন আইএনটিটিইউসির সভানেত্রী দোলা সেন। তিনি জানিয়েছেন, চটকল খোলা রেখে শ্রমিকরা তাঁদের প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা পান এটাই তাঁরা চান। চুক্তিপত্রে সই করে এবং ধর্মঘটের বিরোধিতা করে শ্রমমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছে আইএনটিইউসি, বিএমএস-সহ অন্য শ্রমিক সংগঠনগুলি। আইএনটিইউসি নেতা গনেশ সরকারের দাবি, মজুরি বৃদ্ধির পাশাপাশি শ্রমিকদের বোনাস, গ্র্যাচুইটি ক্ষেত্রে ৪২% বৃদ্ধি হয়েছে। সেই কারণে তাঁরা চুক্তিতে সই করেছেন। তবে চটকল মালিকদের একাংশ জানিয়েছেন, চুক্তি নিয়ে বামপন্থী শ্রমিক ইউনিয়নগুলি বিরোধিতা করায় চটশিল্পে জটিলতা রয়েই গেল। ফলে কাজে ধর্মঘটের আংশিক হলেও প্রভাব পড়বে।

সিটু সমর্থিত বেঙ্গল চটকল মজদুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনাদি সাহু জানিয়েছেন, এক দিনের ধর্মঘট হলেও চুক্তির বিরোধিতা করে রাজ্য জুড়ে তাঁদের প্রতিবাদ কর্মসূচি চলবে। ভোটের পরে ফের চটশিল্পে ধমর্ঘটের সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা। সাহুর দাবি, নতুন শ্রমিকদের সব মিলিয়ে দৈনিক মজুরি বাড়িয়ে ৩৮৫ টাকা ও পুরনো শ্রমিকরা যা মজুরি পেয়ে থাকেন তার উপর ২ টাকা করে বৃদ্ধি করার কথা বলা হয়েছে। যা তাঁরা মানেননি।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

CITU Labour Union Strike Jute Mill Malay Ghatak
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy