ফাইল চিত্র।
কেন্দ্র মনে-প্রাণে চাইলেও, চলতি অর্থবর্ষে এলআইসি-র শেয়ার বাজারে ছাড়া (আইপিও) নিয়ে কিছুটা সংশয় তৈরি হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সরকারি সূত্র সেই সংশয় উড়িয়ে দাবি করল, লগ্নিকারীদের যাবতীয় প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে আগামী মার্চেই বাজারে আসছে ওই শেয়ার। এ মাসের শেষে কিংবা আগামী মাসের শুরুতে বাজার নিয়ন্ত্রক সেবির কাছে আবেদনপত্র জমা দেবে সংস্থা।
চলতি অর্থবর্ষে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় তাদের হাতে থাকা শেয়ার বেচে ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যে এগোচ্ছে মোদী সরকার। যদিও তা পূরণ হবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। কারণ এখনও পর্যন্ত ভাঁড়ারে এসেছে মাত্র ৯৩৩০ কোটি টাকা। এমন অবস্থায় তড়িঘড়ি বিলগ্নিকরণের পরিকল্পনাগুলি সেরে ফেলার বার্তা দিয়েছিল নয়াদিল্লি। সেই পরিকল্পনারই অঙ্গ এলআইসি-র আইপিও। যে কারণে গত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন আইপিও-র প্রস্তুতি পর্বের অগ্রগতি নিয়ে অর্থ মন্ত্রকের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বর্তমানে এলআইসি-র ১০০% অংশীদারিই কেন্দ্রের সরকারের হাতে। তার মধ্যে কতটা আইপিও মারফত বেচা হবে, সে ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে শেয়ার বিক্রির ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সংস্থাটির মূল্যায়ন। এলআইসি-র মতো এত বড় মাপের সংস্থার মূল্যায়নের কাজ বেশ কঠিন, মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। সেই কাজ শেষ হয়েছে কি না জানা যায়নি।
আর্থিক বিশেষজ্ঞ এবং ইনস্টিটউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অনির্বাণ দত্ত বলেন, “আইপিও-তে শেয়ারের সঠিক দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংস্থার সঠিক মূল্যায়ন জরুরি। বিলগ্নিকরণের লক্ষ্য পূরণের জন্য মার্চের মধ্যে এলআইসির আইপিও ছাড়ার তাগিদ রয়েছে কেন্দ্রের। কিন্তু ঠিক মতো মূল্যায়নের উপরে আইপিও-তে শেয়ারের সঠিক দাম নির্ধারণ নির্ভর করছে। আশা করি বিষয়টিতে সরকার তাড়াহুড়ো করবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy