Advertisement
০৫ মে ২০২৪

ভোটে চোখ রেখে তড়িঘড়ি ব্যাঙ্কে ৪১ হাজার কোটি টাকা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে কেন্দ্র

ভোটের আগে এই তহবিল জোগাড়ের লক্ষ্যেই কোষাগারে আরও অর্থ পেতে মরিয়া সরকার। যাতে সামাজিক প্রকল্পগুলির খরচে হাত দিতে না হয়।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:৪৩
Share: Save:

দরজায় লোকসভা ভোট। তাই ছোট-মাঝারি শিল্পের ক্ষোভে জল ঢালতে উঠেপড়ে লেগেছে কেন্দ্র। আর সেই লক্ষ্যে তড়িঘড়ি মাঠে নেমেছে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে ৪১ হাজার কোটি টাকার নতুন পুঁজি জোগাতে। যাতে নগদের অভাবে জেরবার ছোট ও মাঝারি সংস্থাগুলির জন্য দ্রুত ঋণের বন্দোবস্ত করা যায়। নোটবন্দি থেকে তাড়াহুড়ো করে জিএসটি চালু— গত সাড়ে চার বছরে মোদী সরকারের এই সমস্ত পদক্ষেপের ধাক্কায় সব থেকে বেশি ভুগতে হয়েছে যাদের।

সম্প্রতি আর্থিক বিষয়ক সচিব সুভাষ চন্দ্র গর্গ জানিয়েছেন, তাঁরা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে অন্তর্বর্তীকালীন ডিভিডেন্ডের দাবি জানাবে। সংশ্লিষ্ট মহলের ইঙ্গিত, ভোটের আগে এই তহবিল জোগাড়ের লক্ষ্যেই কোষাগারে আরও অর্থ পেতে মরিয়া সরকার। যাতে সামাজিক প্রকল্পগুলির খরচে হাত দিতে না হয়।

অনুৎপাদক সম্পদের বোঝা আর্থিক স্বাস্থ্যে কামড় বসানোর পরে ১১টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নতুন ঋণ দেওয়ার উপর বিধিনিষেধ (প্রম্পট করেকটিভ অ্যাকশন বা পিসিএ) জারি করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।

আরও পড়ুন: কবে গড়াবে রথ, বিভ্রান্তি রায়ের পরেও​

কেন্দ্র বার বার সেই বিধিনিষেধের শর্ত আলগা করার দাবি জানালেও লাভ হয়নি। উর্জিত পটেল গভর্নর থাকাকালীন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক তেতো হওয়ার যা অন্যতম কারণ ছিল। সরকারি সূত্রের দাবি, ভোটের আগে আর কোনও ঝুঁকি না নিয়ে এ বার বাড়তি পুঁজি ঢেলেই ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক জমি পোক্ত করার ব্রত নিয়েছে অর্থ মন্ত্রক। তাদের আশা, নতুন পুঁজি জোগানো হলে অন্তত ৪-৫টি ব্যাঙ্ক ওই বিধিনিষেধ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে। একই সঙ্গে যেগুলির আর্থিক পরিস্থিতি বিপদসীমার কাছাকাছি, তাদেরও উদ্ধার করা সম্ভব হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2019 Election Politics Vote
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE