ক্যান্সার থেকে শুরু করে হৃদযন্ত্রের অস্ত্রোপচার। লিভার হোক বা স্নায়ুর সমস্যা। বিভিন্ন ধরনের শারীরিক অসুস্থতার চিকিৎসায় বিপুল খরচের ধাক্কা সামলাতে হয় আমজনতাকে। আর তাই দিন দিন স্বাস্থ্য বিমার প্রতি মধ্যবিত্তদের বাড়ছে আগ্রহ। গ্রাহকের প্রদেয় প্রিমিয়ামের উপর নির্ভর করে এর কভারেজ। সেখানে কোনও রকমের আপোষ না করে কম টাকা লগ্নিতেও রয়েছে স্বাস্থ্য বিমা করার সুযোগ। কী ভাবে এই সুবিধা পাবেন, তা এখানে তুলে ধরা হল।
স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়াম কমানোর সবচেয়ে ভাল উপায় হল কম বয়সে এতে বিনিয়োগ। কারণ, গ্রাহকের বয়স এবং শারীরিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয় এই বিমা। বয়স বাড়লে স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়াম বৃদ্ধি পায়। উদাহরণ হিসাবে ২৫ বছর বয়সী একজন গ্রাহকের কথা বলা যেতে পারে। তিনি স্বাস্থ্য বিমায় লগ্নি করতে ৪০ বছর বয়সী গ্রাহকের তুলনায় প্রিমিয়াম বাবদ দেবেন অনেকটাই কম টাকা।
স্বাস্থ্য বিমায় নেটওয়ার্ক হাসপাতালের চিকিৎসা গ্রহণ করলে হ্রাস পাবে প্রিমিয়ামের অঙ্ক। সে ক্ষেত্রে গ্রাহকের প্রদেয় অর্থ প্রায় ১৫ শতাংশ কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, এতে চিকিৎসার আনুষাঙ্গিক খরচও কম হবে তাঁর। এ ছাড়া প্রিমিয়ামের পরিমাণ কমাতে মাল্টি বেড শেয়ারিং বিকল্পটিও বেছে নিতে পারেন তিনি।
স্বাস্থ্য বিমার গ্রাহক ইচ্ছা করলে কিস্তিতে কিস্তিতে লগ্নি করতে পারেন। এতে কভারেজের উপর প্রভাব না ফেলে মোটা অঙ্কের বিমা কেনার সুযোগ পেতে পারেন তিনি। উদাহরণ হিসাবে ২০ হাজার টাকার একটি বার্ষিক স্বাস্থ্য বিমার কথা বলা যেতে পারে। একবারে ওই টাকা না নিয়ে গ্রাহক প্রতি মাসে দিতে পারেন প্রিমিয়াম। সে ক্ষেত্রে প্রতিটি কিস্তিতে তাঁকে দিতে হবে মাত্র ১,৬০০ টাকা।
গ্রাহকের সিবিল স্কোর ভাল হবে প্রিমিয়ামের উপর অনেক সময়ে স্বাস্থ্য বিমার সংস্থাগুলি ছাড় দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রের বিমাতে লগ্নির খরচ ১৫ শতাংশ কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য বিমাকে সাশ্রয়ী করতে টপ আপ বা সুপার টপ আপ প্ল্যান বেছে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা। এতে কভারেজ বেশি পাওয়ার সুবিধা পাবেন গ্রাহক।
স্বাস্থ্য বিমার বেস পলিসিতে ১০ লক্ষ টাকার কভারেজ থাকলে এবং বিনিয়োগকারী ৯০ লক্ষ টাকার সুপার টপ আপ প্ল্যান বেছে নিলে এক কোটি টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার খরচ পাবেন। এ ছাড়া খরচ কমাতে এই বিমাকে পণ্য ও পরিষেবা করের (গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স বা জিএসটি) আওতার বাইরে আনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। তবে এখনও এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি কেন্দ্র।