Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি বাড়াতে মহীন্দ্রার হাতিয়ার ট্যাক্সি পরিষেবা

ওলা-উবেরের মতো সংস্থার হাত ধরে ছোট-বড় নানা ধরনের যাত্রীগাড়ি ব্যবহার হচ্ছে ট্যাক্সি পরিষেবায়। এ বার এই ধরনের পরিষেবায় কাজে লাগিয়ে নিজেদের বৈদ্যুতিক গাড়ি ‘ই-টুও’র বিক্রিও বাড়িয়ে নিতে চাইছে মহীন্দ্রা।

বেঙ্গালুরুর রাস্তায় রেভা ট্যাক্সি। ছবি: পিটিআই।

বেঙ্গালুরুর রাস্তায় রেভা ট্যাক্সি। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৫ ০২:২০
Share: Save:

ওলা-উবেরের মতো সংস্থার হাত ধরে ছোট-বড় নানা ধরনের যাত্রীগাড়ি ব্যবহার হচ্ছে ট্যাক্সি পরিষেবায়। এ বার এই ধরনের পরিষেবায় কাজে লাগিয়ে নিজেদের বৈদ্যুতিক গাড়ি ‘ই-টুও’র বিক্রিও বাড়িয়ে নিতে চাইছে মহীন্দ্রা।

রেভা-র বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবসা কেনার পরে সেটিকেই ই-টুও নামে বাজারে এনেছে মহীন্দ্রা। কিন্তু সরকারি নানা সুবিধা মিললেও গাড়িটি তেমন বিক্রি হয়নি। তবে বেঙ্গালুরুতে লিথিয়াম নামের এক সংস্থা বৈদ্যুতিক ট্যাক্সি পরিষেবা দেওয়ার জন্য ই-টুও ব্যবহার করতে শুরু করলে খানিকটা পাল্টায় ছবি। তাতেই বৈদ্যুতিক গাড়িটির বিক্রি বাড়ানোর নতুন পথ খুঁজে পেয়েছে মহীন্দ্রা। যে কারণে দিল্লি, পুণেতেও ট্যাক্সি পরিষেবায় ই-টুওকে খাটানোর খুঁটিনাটি দিক খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে তারা।

মহীন্দ্রার এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর পবন গোয়েন্কা বুধবার জানান, তাঁরা লিথিয়ামকে ৫০টি ই-টুও বেচেছেন। আরও ৫০টি বেচবেন। এ ছাড়া, আগামী দিনে দিল্লি ও পুণের ট্যাক্সি পরিষেবায় এই গাড়ি ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কথাও বলছেন তাঁরা। যা বাস্তবায়িত হলে বিক্রি আরও বাড়বে।

মহীন্দ্রা গোষ্ঠীর উপস্থিতি জোরালো মূলত বড় যাত্রী গাড়ির (ইউটিলিটি ভেহিক্‌ল) বাজারে। কিন্তু এখন পরিবেশ বান্ধব বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজার তৈরিতেও জোর দিচ্ছে তারা। সেই সূত্রেই চার দরজার ই-টুও (এখন দুই দরজার হয়), ভেরিটো এবং বাণিজ্যিক গাড়ি ম্যাক্সিমো-র বৈদ্যুতিক সংস্করণ তৈরির কথা এ দিন জানান গোয়েন্কা। আগামী বছর ইউরোপে ই-টুও রফতানির পরিকল্পনাও রয়েছে সংস্থার।

বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির নতুন পরিকল্পনায় এখন কিছু সুবিধা দেয় কেন্দ্র। তবে গোয়েন্কার দাবি, দেশে এর চাহিদা বাড়াতে রাজ্যগুলিকেও আকর্ষণীয় সুবিধা দিতে হবে। তাঁর মন্তব্য, পশ্চিমবঙ্গ সরকার পথকর বা যুক্তমূল্য করে কিছুটা ছাড় দিলেও, কর্ণাটক, দিল্লি ও মহারাষ্ট্র এ ব্যাপারে অনেক বেশি সক্রিয়। তবে সেখানে বাড়তি কী সুবিধা মেলে, তা নির্দিষ্ট করে জানাননি তিনি। প্রসঙ্গত, এ রাজ্যে এখনও পর্যন্ত হাতেগোনা কয়েকটি ই-টুও বেচেছে মহীন্দ্রা।

এ দিকে, মঙ্গলবার সিআইআইয়ের এক সভায় এ রাজ্যে শিল্পের জন্য জমি পাওয়া নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন গোয়েন্কা। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছিল, তাঁরা কি এখানে লগ্নির কথা ভাবছেন? আগের দিনের মতোই এ দিনও গোয়েন্কা স্পষ্টই জানিয়েছেন, আগামী চার-পাঁচ বছরে তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই।

অবশ্য এ রাজ্যে গাড়ির যন্ত্রাংশের একটি বণ্টন কেন্দ্র খুলছে সংস্থাটি। গোয়েন্কা জানান, এত দিন পুণের কারখানা থেকে দেশের সর্বত্র যন্ত্রাংশ পাঠানো হত। জোগানের সুবিধার জন্য এ বার আ়ঞ্চলিক কেন্দ্র চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থা। প্রথমটি হচ্ছে জয়পুরে। দ্বিতীয়টি হবে খড়্গপুরে, গোটা পূর্বাঞ্চলের বাজারের জন্য। লগ্নি হবে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। চালু হতে লাগবে বছর দেড়-দুই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mahindra vehicle
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE