Advertisement
E-Paper

কর্পোরেট ত্রাণে যুদ্ধং দেহি রাজ্য

রাজ্যের বঞ্চনা নিয়ে লড়াই বহাল রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

জয়ন্ত ঘোষাল

শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৮ ১৬:৩৮
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর সার্ধ শতবর্ষ নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর ডাকা বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন ঠিকই। কিন্তু রাজ্যের বঞ্চনা নিয়ে লড়াই বহাল রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

দিল্লিতে আজ বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মমতা। কিন্তু তার আগেই মোদীকে চিঠি লিখে অভিযোগ তুলেছেন, শিল্প সংস্থার ‘কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা’-র তহবিল থেকে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিলে অর্থ মঞ্জুরের ছাড়পত্র রয়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থ মঞ্জুরের ছাড়পত্র নেই। মমতার দাবি, কোম্পানি আইনে এই তহবিলের অর্থ বরাদ্দের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলকেও অন্তর্ভুক্ত করা হোক। যাতে গরিব মানুষেরা বঞ্চিত না হন।

মোদী ক্ষমতায় এসে সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর কথা বলেছিলেন। কিন্তু মমতার অভিযোগ, কেন্দ্র সেই নীতি মানছে না। রাজ্যগুলিকে আর্থিক ভাবে বঞ্চিত করছে। নিজেদের মতো প্রকল্প তৈরি করে রাজ্যের উপর চাপাচ্ছে যাবতীয় দায়। অনগ্রসর জেলার উন্নয়ন প্রকল্পেও একতরফা সিদ্ধান্তের অভিযোগ তুলে, তা থেকে সরে দাঁড়িয়েছে রাজ্য। এ বার একই সুরে কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলের মধ্যে সমতার দাবি তুললেন তিনি।

এ দিন চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অন্যান্য রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গেও মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল তৈরি হয়েছে। গরিব মানুষের চিকিৎসা, শিক্ষা ও অন্যান্য প্রয়োজনে সুরাহা দিতে এর অর্থ ব্যবহার করছি। এখান থেকে জরুরি পরিস্থিতিতে চিকিৎসার সাহায্যে খরচ করা হয়েছে। সাহায্য করা হয়েছে গরিব মেধাবী পড়ুয়াদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু তহবিলে সব সময়ই চাপ থাকে। কারণ কর্পোরেট সংস্থাগুলির থেকে তেমন অনুদান মেলে না। ফলে অনেককে সাহায্য করা যায় না।’’

২০১৩ সালের কোম্পানি আইন ও ২০১৪-র কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ম অনুযায়ী, যে সংস্থার নিট মুনাফা ৫ কোটি টাকার বেশি বা যাদের ব্যবসা অন্তত ১,০০০ কোটি বা শেয়ার দরের ভিত্তিতে বাজারে যে সংস্থাগুলির মোট মূল্যায়ন (মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন) ৫০০ কোটি, তাদের গড় নিট মুনাফার ২% এই দায়বদ্ধ খাতে খরচ করতে হবে।

দারিদ্র বা লিঙ্গবৈষম্য দূর করা, শিশু ও মায়েদের স্বাস্থ্য রক্ষা, পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখা বা বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মতো নানা খাতে এই তহবিলের অর্থ খরচ করতে পারে সংস্থাগুলি। এই পরিপ্রেক্ষিতেই কোম্পানি আইনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিলের অর্থও এর আওতায় পড়বে। মমতার যুক্তি, ‘‘এর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলও যোগ হলে, তা প্রশংসনীয় হবে। মানুষের দরকারে পাশে দাঁড়ানো সহজ হবে রাজ্যগুলির পক্ষে।’’

Mamata Banerjee Narendra Modi NITI Ayog
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy