Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

ছোট শিল্পে জার্মানি, চর্মে নজর ইতালিতে

শিল্প তথা অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানান, আজ, মঙ্গলবার জার্মান শিল্প প্রতিনিধিদের সামনে রাজ্যকে লগ্নির গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা হবে

মমতা বন্দোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

মমতা বন্দোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

ইন্দ্রজিৎ অধিকারী
ফ্রাঙ্কফুর্ট শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:১৭
Share: Save:

গাড়ি, ছোট-মাঝারি শিল্পের তরফ থেকে রাজ্যে লগ্নির ইচ্ছের নাড়ি টিপে দেখতে জার্মানি। আর চর্মশিল্পে বিনিয়োগের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে ইতালি। এই ক্ষেত্রগুলিকে পাখির চোখ করেই ইউরোপ সফরের পরিকল্পনা করেছে রাজ্য। সোমবার ফ্রাঙ্কফুর্টে এ কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমন্ত্রণ অনেক আসে। কাজের চাপে যাওয়া সম্ভব হয় না। কিন্তু এ বারের সফরে অন্তত লগ্নি টানতে জরুরি পারষ্পরিক বিশ্বাসের ভিত পোক্ত হওয়ার সম্ভাবনা।’’

শিল্প তথা অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানান, আজ, মঙ্গলবার জার্মান শিল্প প্রতিনিধিদের সামনে রাজ্যকে লগ্নির গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা হবে। থাকবেন বণিকসভা আইএইচকে-র এমডি জুর্গেন র‌্যাটজ্যাঙ্গার, ইন্দো-জার্মান চেম্বার অব কমার্সের ডার্ক ম্যাটার, ভিডিএমএ-র অলিভার ওয়্যাক। তাঁর দাবি, এই তিন বণিকসভা
জার্মানির শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্যে ইতিমধ্যেই লগ্নি করা কিছু সংস্থার কর্ণধারদেরও যোগ দেওয়ার কথা। এসেছেন বন্ধন ব্যাঙ্কের এমডি-সিইও চন্দ্রশেখর ঘোষ, চ্যাটার্জি গোষ্ঠীর কর্ণধার পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের মতো কয়েক জন ভারতীয় উদ্যোগপতিও।

অমিতবাবু বলেন, ২০১৬ সালে মিউনিখে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তৈরি হয় প্রাথমিক পরিচয়। সেই সূত্রেই ২০১৭ সালে বিশ্ব বঙ্গ শিল্প সম্মেলনে সহযোগী দেশ হয় জার্মানি। তার পরে ২০১৮ সালেও দেখা যায় একই ছবি। এসেছিলেন নর্থ রাইন ওয়েস্ট ফেলিয়া ভাইস মিনিস্টার কোটজেৎস্কি। অমিতবাবুর কথায়, ‘‘রাতারাতি লগ্নি আসে না। আলোচনার টেবিলে চোখে চোখ রেখে কথা বলতে গিয়ে একে অন্যকে মাপে দু’পক্ষ। আস্থা, আগ্রহ, বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হয় তখনই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Germany Small Industry Tannery Mamata Banerjee
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE