সফর: লন্ডন থেকে এডিনবরার পথে মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র
রাজ্যে বিনিয়োগ আনার দ্বিতীয় গন্তব্য স্কটল্যান্ডে আজ পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লন্ডন থেকে ট্রেনে সন্ধ্যা নাগাদ এডিনবরা পৌঁছন তিনি। বৃহস্পতিবার এখানেই হবে বাণিজ্য বৈঠক। স্কটিশ ডেভেলপমেন্টাল ইন্টারন্যাশনাল এই বৈঠকের মুখ্য আয়োজক। সঙ্গে আছে বণিকসভা ফিকি। পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ সম্ভাবনার কোন কোন দরজা স্কটল্যান্ড থেকে খুলবে, বৈঠকে তার আভাস মিলতে পারে বলে মুখ্যমন্ত্রী আশাবাদী।
গত কাল লন্ডনে একই রকম বৈঠক সেরে মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছিলেন শিল্পপতি লক্ষ্মী মিত্তলের বাড়িতে, তাঁর সঙ্গে আলোচনা সারতে। প্রায় ঘণ্টা দুয়েকের বৈঠকে রাজ্যের অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র এবং মুখ্যসচিব মলয় দে-ও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। সেখানে কী আলোচনা হয়েছে, তার থেকে বড় হল, জানুয়ারিতে কলকাতার বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে মিত্তলের হাজিরা পাকা হওয়া। মুখ্যমন্ত্রীকে মিত্তল প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি সেখানে যাবেন এবং সম্মেলনের কাজকর্মের বাইরেও তাঁর সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করবেন।
গত কাল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মিত্তলের বৈঠকে রাজ্যে শিল্প স্থাপনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনও বিনিয়োগ ক্ষেত্র উঠে আসেনি। তবে ইস্পাত শিল্পে অভিজ্ঞ মিত্তলের প্রথম পছন্দ যে সে দিকেই, তেমন আভাস মিলেছে। ইস্পাতনগরী বার্নপুরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও মমতার কাছে খোঁজ নিয়েছেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গে ইস্পাত শিল্প গড়ার ক্ষেত্রে অবশ্য রাজ্যের মূল সমস্যা হল, লৌহ আকরিকের জোগান, ইস্পাত শিল্পে যা অপরিহার্য। পশ্চিমবঙ্গে তা নেই। আনতে হবে বাইরে থেকে। কেন্দ্রের বিধিনিষেধও আছে। এই অবস্থায় প্রতিবেশী কোনও রাজ্য থেকে লৌহ আকরিক আমদানি করা যায় কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা যেতে পারে, এমন কথাবার্তা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী এবং মিত্তলের মধ্যে। জমির সমস্যা যে হবে না, সেটা নিশ্চিত করেছেন মমতা।
যদি ইস্পাত শিল্প না হয়, সে ক্ষেত্রে কী হতে পারে? রাজ্য সরকার এ ক্ষেত্রে মিত্তলের পছন্দকেই গুরুত্ব দেবে। বৈঠক শেষে মমতা বলেন, ‘‘এখনই তাড়াহুড়োর কী আছে? সবই তো এক দিনের কথায় শেষ হয়ে যায় না। মিত্তল আসবেন। বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দেবেন। আমাদের মধ্যে আরও কথাবার্তা হবে। তাঁকে রাজ্যে আসার অনুরোধ করা মাত্র তিনি তা গ্রহণ করেছেন। নিশ্চয়ই অকারণে নয়!’’
এ দিন লন্ডনের হোটেল থেকে কিংসক্রস স্টেশন পর্ষন্ত হেঁটেই আসেন মুখ্যমন্ত্রী। লন্ডনের পথে তাঁর রোজ সকালের হাঁটা আজ এ ভাবেই শেষ হল। হাতে সময় ছিল। তাই ঘুরপথে ট্রাফালগার স্কোয়্যার, লেফটার স্কোয়্যার দেখতে দেখতে স্টেশনে পৌঁছন। সব মিলিয়ে এ দিনের হণ্টন ‘মাত্র’ ৬ কিলোমিটার!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy