বেশ কিছু দিন পর বাজার আবার অল্প অল্প বাড়ছে। আগের কয়েক দিনে সেনসেক্স হাজার পয়েন্ট বেড়ে ফের ৩৪ হাজারে ফিরেছে। নিফ্টিও আবার পার করেছে ১০,৫০০ অঙ্কের মাত্রা। তবে পর পর সাত দিন সেনসেক্স কমবেশি উঠলেও এটা বলা যাবে না, বাজার ‘বুল’ বলয়ে ফিরেছে।
এর আগে দুর্বলতা গ্রাস করেছিল বাজারকে। প্রথমে পিএনবি কাণ্ডের জের। পরে চিন ও মার্কিন শুল্ক-যুদ্ধ। এই দুই দেশ রফার সন্ধানে কিছুটা আগ্রহী হওয়ায় খানিকটা স্বস্তি ফিরেছে বাজারে। পাশাপাশি দেশেও কিছু ইতিবাচক ঘটনা শক্তি জোগাতে শুরু করেছে দুই সূচককে। সেনসেক্স এতটা উঠলেও, তা এখনও সর্বোচ্চ জায়গা থেকে দু’হাজার পয়েন্ট পিছনে। একটু নজর করলে দেখা যাবে, সূচক এতটা উঠলেও এই উত্থানে বহু শেয়ার কিন্তু সামিল হয়নি। অর্থাৎ ভিতরে ভিতরে এখনও বাজারের দুর্বলতা কাটেনি।
গত সপ্তাহে বাজার পায় এক জোড়া ভাল খবর। এক দিকে শিল্পে স্থিতাবস্থা ও অন্য দিকে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি কমা সপ্তাহের শেষে শক্তি জোগায় বাজারকে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে শিল্প বৃদ্ধির হার ছিল ৭.১%। অন্য দিকে মার্চে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৪.২৮%, যা পাঁচ মাসে সব চেয়ে কম। শিল্প বৃদ্ধি যেমন অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেয়, তেমন মূল্যবৃদ্ধি নামলে আশা জাগে, সুদ না কমুক, কিন্তু এখনই তা বাড়ছে না। বিশদ তথ্য দেওয়া হল সঙ্গের সারণিতে।
অর্থনীতির যা অবস্থা, তাতে বাজার সম্পর্কে আশায় বিশেষজ্ঞরা। চলতি বছরে বিশ্ব বাজারে বড় উত্থান আশা করা না হলেও, উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে ভারত এগিয়ে থাকবে বলে ধারণা। মর্গান স্ট্যানলির অনুমান, সাধারণ ভাবে সেনসেক্স বছর শেষে পৌঁছতে পারে ৩৫,৭০০ অঙ্কে (৫০% সম্ভাবনা)। বাজার বুল-দের হাতে গেলে সূচক পৌঁছে যেতে পারে ৪১,৫০০ পয়েন্টে (৩০% সম্ভাবনা)। আর বেয়ার-রা আধিপত্য পেলে সূচক নামতে পারে ২৫,০০০ পর্যন্ত (২০% সম্ভাবনা)। বাজারের কাছে এখন বড় চিন্তা অশোধিত তেলের চড়া দাম এবং শক্তিশালী দেশগুলির মধ্যে নানা কারণে অশান্তির সম্ভাবনা।
শুরু হয়েছে চতুর্থ ত্রৈমাসিক বা বার্ষিক ফল প্রকাশের পালা। গোড়াতেই মার্কশিট নিয়ে হাজির ইনফোসিস। যা আশা করা হয়েছিল তার সঙ্গে ফল মোটের উপর মিলেছে। আজ থেকে প্রতিদিনই হাতে আসবে বিভিন্ন সংস্থার ফল ও এদের ভালই প্রভাব থাকবে বাজারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy