—ফাইল চিত্র
এক বছর ধরে টানা ধাক্কা খেয়েছে গাড়ি শিল্প। বিক্রি তলানিতে। কিন্তু তা সত্ত্বেও এ দেশের বাজারে ভরসা রাখছে গাড়ি সংস্থাগুলি। সেই আস্থার কথা বলেই ভারতে নতুন কারখানা তৈরি করবে বলে জানাল মারুতি-সুজুকি। গ্রেটার নয়ডার অটো-এক্সপোতে সংস্থার শীর্ষকর্তা কেনিচি আয়ুকায়া বলেন, এ জন্য তাদের প্রাথমিক গন্তব্য হরিয়ানা। দিন দুয়েক আগে এই গাড়িমেলাতেই ভারতে গাড়ি শিল্পের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা উজ্জ্বল জানিয়ে লগ্নির কথা ঘোষণা করেছে দুই চিনা সংস্থা।
১৯৮৩ সালে গুরুগ্রামের কারখানা থেকে ‘মারুতি ৮০০’ তৈরি করে যাত্রা শুরু করেছিল মারুতি উদ্যোগ লিমিটেড। পরে সংস্থার নাম বদলে হয় মারুতি-সুজুকি। এখন কারখানাটিতে বছরে ৭ লক্ষ বিভিন্ন মডেলের গাড়ি তৈরি হয়। পরে হরিয়ানার মানেসরে দ্বিতীয় কারখানা চালু হয়। যার বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ৮ লক্ষ।
কিন্তু জায়গার সীমাবদ্ধতার কারণে গুরুগ্রামের কারখানার সম্প্রসারণের সুযোগ নেই। ইতিমধ্যে গুজরাতে আরও একটি কারাখানা তৈরি করেছে তাদের মূল সংস্থা সুজুকি কর্পোরেশন। সেখানেও মারুতি-সুজুকির গাড়ি তৈরি হয়। দু’টি লাইন মিলিয়ে কারখানাটির উৎপাদন ক্ষমতা বছরে ৫ লক্ষ। কেনিচি জানান, তৃতীয় লাইন পরের বছরের মাঝামাঝি চালু হলে আরও ২.৫ লক্ষ গাড়ি তৈরি হবে।
গুজরাতের কারখানায় অবশ্য লগ্নি করছে সুজুকি গোষ্ঠী। মারুতিও আলাদা করে গাড়ি তৈরির ক্ষমতা বাড়াতে চায়। কেনিচি জানান, ১০ বছরে ভারতে বার্ষিক ১ কোটি গাড়ি বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। সে কথা মাথায় রেখে তাঁরাও নতুন লগ্নি করতে চান।
কিন্তু গুরুগ্রাম ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় সেখানে নতুন কারখানা গড়া অসুবিধা। বরং হরিয়ানায় গাড়ির যন্ত্রাংশ শিল্পের যে ভিত তৈরি হয়েছে, তার আশপাশে কারখানা গড়লে সেই পরিকাঠামোর সুবিধা নেওয়া সহজ। কেনিচিও জানান, নতুন কারখানার জমির জন্য তাঁরা হরিয়ানা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছেন। তবে সবটাই প্রাথমিক স্তরে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, কারখানাটির জন্য প্রায় হাজার একর জমি লাগতে পারে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জায়গা সংস্থাকে দেখিয়েছে রাজ্য।
কেনিচির দাবি, কারখানা গড়তে কত সময় লাগবে বা লগ্নি কত, তা বলার সময় আসেনি। তবে সূত্রের খবর, এখন বছরে গাড়ি তৈরি, গবেষণা, বিপণন-সহ সার্বিক ভাবে প্রায় ৪,০০০ কোটি টাকা লগ্নি করা হয়। নতুন কারখানায় তার বেশিই হওয়ার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy