ফাইল চিত্র।
বিএসএনএলে ঠিকাদারের অধীনে থাকা অস্থায়ী কর্মীদের বেতনের দায় যে কেন্দ্রের কাঁধে বর্তায় না, তা সম্প্রতি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন টেলিকমমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। অথচ, এই বিবৃতির ঠিক দু’সপ্তাহের মাথায় বিষয়টি নিয়ে নতুন ধন্দ তৈরি করলেন ওই মন্ত্রকেরই প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় শামরাও ধোতরে। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় তিনি জানালেন, রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থার কর্মীদের বকেয়া বেতন মেটানোর বিষয়টি সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে। এমনকি ঠিকা কর্মীদের বকেয়াও।
২০১০ সাল থেকে ক্ষতির বোঝা বইতে হচ্ছে বিএসএনএল-কে। সেই সঙ্গে কাঁধে ২০,০০০ কোটি টাকা ঋণ। এ দিন রাজ্যসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে ধোতরে বলেন, ‘‘কর্মীদের বেতন মেটানো আমাদের অগ্রাধিকার। বিএসএনএলের আর্থিক পরিস্থিতির সম্পর্কে সকলেই ওয়াকিবহাল। বিএসএনএল এবং এমটিএনএল-কে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে সরকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। পরিস্থিতির উন্নতি হলেই বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হবে।’’ তহবিল হাতে এলে অস্থায়ী ঠিকা কর্মীদের বকেয়াও মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ মাসের গোড়ায় অক্টোবরের বেতন পেয়েছেন সংস্থার স্থায়ী কর্মীরা। নভেম্বরের বেতন এখনও বাকি। আর আর্থিক সঙ্কটের জেরে বেশ কয়েক মাস বেতন পাচ্ছেন না বিএসএনএলের অস্থায়ী ঠিকা কর্মীরা। সম্প্রতি রাজ্যসভায় প্রসাদ জানান, বিএসএনএল বিশেষ কিছু কাজ ঠিকাদার সংস্থাকে দিয়ে করায়। তার জন্য ঠিকাদারেরাই অস্থায়ী কর্মীদের কাজে লাগায়। তাই তাঁদের বেতনের দায়িত্ব ঠিকাদারদেরই। ফলে দুই মন্ত্রীর বক্তব্যের পরেও ধন্দ দূর হচ্ছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy