রুজি-রোজগারে যখন করোনার তীব্র আঘাত আছড়ে পড়ছে, ঠিক তখনই স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়াম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল রাষ্ট্রায়ত্ত সাধারণ বিমা সংস্থা ন্যাশনাল ইনশিওরেন্স কোম্পানি (এনআইসি)। শুধু বাড়ানোই নয়, কিছু ক্ষেত্রে সেই বৃদ্ধির পরিমাণ ছাড়িয়েছে ৭৮%। বিশেষত সমস্যার মুখে পড়েছেন বয়স্করা। সংস্থার যুক্তি, চিকিৎসা খরচের দাবি বাড়ায় সমস্যায় পড়ছে তারা। তাই এই পদক্ষেপ। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, এত বোঝা সবাই বইতে পারবেন? ব্যাঙ্কে সুদ কমছে। চাকরি-বাকরির অবস্থা শোচনীয়। করোনার এই ভয়ানক আবহে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া যুক্তিযুক্ত কি? সংস্থার এজেন্টরাই প্রশ্ন তুলছেন, যাঁরা কষ্টেসৃষ্টে এত দিন প্রিমিয়াম টেনেছেন, ভবিষ্যতে পারবেন তো?
১৫ মে থেকে ন্যাশনাল মেডিক্লেম পলিসির প্রিমিয়াম বাড়াচ্ছে এনআইসি। সংস্থা সূত্রে খবর, তা বাড়ছে মোটামুটি ২০% থেকে প্রায় ৭৯%। জানা গিয়েছে, ১৫ মে থেকে পরের তিন মাসের মধ্যে যে সব গ্রাহকের পলিসি পুনর্নবীকরণের (রিনিউ) তারিখ, তাঁরা আগামী এক বছর পুরনো হারে প্রিমিয়াম দিতে পারবেন। পরের বছর থেকে নতুন হারে প্রিমিয়াম গুনতে হবে। তবে শর্ত, এখন বিমাকৃত অঙ্ক বাড়ানো যাবে না। যদি কেউ তা বাড়াতে চান, তা হলে নতুন হারে প্রিমিয়াম দিতে হবে। পুনর্নবীকরণের তারিখ ১৫ মে থেকে তিন মাস পরে হলে কিংবা যাঁরা নতুন পলিসি কিনবেন, তাঁদের অবশ্য নতুন হারেই প্রিমিয়াম দিতে হবে।
নতুন হার অনুযায়ী, ৬৫ বছরের বিমাকারী ৪ লক্ষ টাকার পলিসি কিনলে প্রিমিয়াম বছরে ২৮,৩৮৪ টাকা। যা ছিল ১৫,৮৯৪ টাকা। অর্থাৎ একলপ্তে ১২,৪৯০ টাকা (৭৮.৫০%) বেশি। ৫৬ বছর বয়সির ৪ লক্ষের পলিসির জন্য প্রিমিয়াম বেড়েছে ৫৯১৫ টাকা। আগের থেকে প্রায় ৩৯% বেশি। তবে কম বয়সিদের ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার তুলনায় কম। যেমন, ৩০ বছর বয়স হলে ৪ লক্ষের পলিসিতে প্রিমিয়াম বাড়ছে ৯৭০ টাকা।