ব্যবসার সুযোগ কতটা, সমস্যা কোথায়, সেই প্রসঙ্গ উঠে এল ইনফোকমে। —ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গে ব্যবসা বা শিল্পায়ন নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। এখানে ব্যবসার সুযোগ কতটা, সমস্যা কোথায়, সেই প্রসঙ্গ উঠে এল ইনফোকমে। রাজ্যের শিল্পমহলের একাংশের বার্তা, বাঙালি ব্যবসা বিমুখ, এমন ধারণা আর ঠিক নয়। পশ্চিমবঙ্গে নানা ক্ষেত্রে লগ্নির সুযোগও যথেষ্ট। তা কাজে লাগাতে পারলে কাজের খোঁজে অন্যত্র যাওয়া মেধাসম্পদ এখানে ফিরতে আগ্রহী।
শনিবার সম্মেলনের অন্যতম আলোচনা ছিল রাজ্যে ব্যবসার সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে। সূচনায় সঞ্চালক তথা সিআইআইয়ের পশ্চিমবঙ্গের চেয়ারপার্সন সুচরিতা বসু রাজ্যের পরিকাঠামো-সহ নানা ক্ষেত্রে উন্নয়ন, সহায়ক নীতি ও আইন সংশোধনের দিকগুলি তুলে ধরেন। শিল্পমহলের নবীন প্রতিনিধিদের কাছে জানতে চান তাঁদের ভাবনার কথা। সেই প্রেক্ষিতে লক্ষ্মী গোষ্ঠীর এমডি রুদ্র চট্টোপাধ্যায় বাংলায় ব্যবসার পরিবেশের দীর্ঘ ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরেন। জানান, অতীতে কিছু বাধা থাকলেও এখন আর তা নেই। চা বাগানের উদ্বৃত্ত জমিকে পর্যটন-সহ বিকল্প ব্যবসার সূত্র হিসেবে কাজে লাগাতে উদ্যোগী সরকার। বাঙালি ব্যবসা বিমুখ, এই ধারণা বদলের বার্তা দেন তিনি।
রাজ্যে ব্যবসার সম্ভাবনার পক্ষে সওয়াল করেন টিটাগড় রেল সিস্টেমের ডিরেক্টর পৃথ্বীশ চৌধুরী এবং ওয়াও মোমোর সিইও সাগর দরিয়ানি। সাগরের মতে, এখানে শিল্প নীতি ব্যবসার সহায়ক। পর্যটন-সহ আতিথেয়তা ব্যবসাকে শিল্পের স্বীকৃতি দেওয়াও উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। পৃথ্বীশের বক্তব্য, কাজের সুযোগ যথেষ্ট নয়, এই আশঙ্কা থেকে বহু দক্ষ মেধাসম্পদ ভিন্ রাজ্যে পাড়ি দিয়েছিল। কিন্তু অনেকেই ফিরতে আগ্রহী। চার্নক হাসপাতালের এমডি প্রশান্ত শর্মার মতে, সারা দেশের মতো রাজ্যেও স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় কিছু ঘাটতি রয়েছে। তবে তা তৈরি করেছে ব্যবসার সুযোগ। যেমন, কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার বাইরে অনেক এলাকায় হাসপাতাল পরিকাঠামো প্রয়োজনের চেয়ে কম। যা এই ক্ষেত্রের লগ্নির রাস্তা খুলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy