Advertisement
E-Paper

জুলাইয়ের মধ্যেই রিপোর্ট কার্ড

শিল্প উন্নয়নে রাজ্যগুলির ভূমিকা যাচাই করে, তা নিয়ে এ বার সরাসরি রিপোর্ট কার্ড তৈরি করছে কেন্দ্র। কোন রাজ্যে কত সহজে ব্যবসা শুরু করা যায়, তার মূল্যায়ন করছে তারা। শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, প্রথম রিপোর্ট কার্ড বেরোবে জুন-জুলাইয়ের মধ্যেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৫ ০২:৫২

শিল্প উন্নয়নে রাজ্যগুলির ভূমিকা যাচাই করে, তা নিয়ে এ বার সরাসরি রিপোর্ট কার্ড তৈরি করছে কেন্দ্র। কোন রাজ্যে কত সহজে ব্যবসা শুরু করা যায়, তার মূল্যায়ন করছে তারা। শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, প্রথম রিপোর্ট কার্ড বেরোবে জুন-জুলাইয়ের মধ্যেই।

শুক্রবার কলকাতায় সিআইআই আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘ভিডিও কনফারেন্সিং’য়ের মাধ্যমে যোগ দেন কেন্দ্রের শিল্পনীতি ও প্রসার দফতরের (ডিপার্টমেন্ট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল পলিসি অ্যান্ড প্রোমোশন) সচিব অমিতাভ কান্ত। তিনি জানান, শিল্প ও বাণিজ্য উন্নয়নের ক্ষেত্রে কাজের বিচারে কোন রাজ্য কোথায় দাঁড়িয়ে, কে ভাল-কে খারাপ, তা চিহ্নিত করতেই চালু হচ্ছে এই মূল্যায়ন প্রক্রিয়া। তাঁর কথায়, ‘‘রাজ্যগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতার মনোভাব গড়ে তোলাই এই রিপোর্ট কার্ড তৈরির লক্ষ্য। ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে রাজ্যের সক্রিয় ভূমিকা কতটা জরুরি, তা-ও ফুটে উঠবে সেখানে।’’ লগ্নিকারীদের সুবিধার জন্য কেন্দ্র সম্প্রতি যে ই-প্ল্যাটফর্মের কথা ঘোষণা করেছে, সেই প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন তিনি।

কান্ত জানান, মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ৯৮টি বিষয়ে রাজ্যগুলিকে কাজ করতে হবে। এবং তা করতে হবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। ভাল-মন্দ বিচারের জন্য সময়ে কাজ করাকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, এ ধরনের মূল্যায়ন ই-গভর্ন্যান্সে আগেই শুরু হয়েছে। তবে তা রিপোর্ট কার্ড হিসেবে প্রকাশিত হয় না। নেট দুনিয়াতেই বিভিন্ন রাজ্যের কাজের খতিয়ান মেলে। দেশ জুড়ে বিভিন্ন ই-গভর্ন্যান্স প্রকল্পের মাধ্যমে ই-ট্রানজাকশন বা নেটে আর্থিক লেনদেনের অঙ্ক মেপে রাখাই কেন্দ্রীয় ওয়েব পোর্টাল ‘ই-তাল’-এর কাজ। সেই পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে তৈরি হয় তালিকা। কোন রাজ্যে কত ই-লেনদেন হয়েছে, তা ওই তালিকায় উঠে আসে।

কোথায় কত সহজে ব্যবসা শুরু করা যায়, সেই নিরিখে তালিকা তৈরি করে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। সেখানে ১৮৯টি দেশের মধ্যে ভারত আছে ১৪২ নম্বরে। কান্তর দাবি, বিশ্ব ব্যাঙ্কের নজরে উঠে আসার জন্য নয়, নিজেদের স্বার্থেই সেখানে উন্নতি করা জরুরি। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্র সহায়তা করবে। কিন্তু কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মূল দায়িত্ব রাজ্যগুলিরই।’’

অন্য দিকে, এ দিনই ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের লি কুঁয়া ইউ স্কুলের এক প্রতিনিধিদল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। সহজে ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে সবার প্রথমে আছে সিঙ্গাপুরই।

industry report card cii Industrial development industrial growt Central Government June-July
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy