নির্মলা সীতারামন। —ফাইল চিত্র।
সাধারণ মানুষকে চড়া মূল্যবৃদ্ধির হাত থেকে বাঁচার পথ করে দিতে বাজেটে আয়করে কেন আরও বেশি সুরাহা দেওয়া হয়নি, প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন মহল। এই পরিস্থিতিতে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের দাবি, তাঁর ইচ্ছে ছিল করের হারকে প্রায় শূন্যে নামিয়ে আনা। কিন্তু গবেষণা উন্নয়ন-সহ বিভিন্ন খাতে সরকারকেই পুঁজি জোগাতে হয়। রয়েছে অন্যান্য চ্যালেঞ্জও। তার জন্য অর্থ প্রয়োজন।
এ বার বাজেটে শুধু আয়করের নতুন কাঠামোয় কিছু সুবিধা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। দু’টি ক্ষেত্রে কর হিসাবের জন্য আয়ের স্তরে বদল হয়েছে। কিছুটা বেড়েছে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনে ছাড়। পুরনো বিকল্পে কোনও বদল হয়নি। বিভিন্ন মহলের দাবি, এই বাজেটে সাধারণ মানুষের তেমন লাভ হয়নি। করে সুবিধা পাবেন কিছু করদাতা। তা-ও খুব বেশি নয়। কর্পোরেট করে যেখানে ঢালাও ছাড়, সেখানে চড়া মূল্যবৃদ্ধির জমানায় সাধারণ করদাতাদের জন্য আরও কিছুটা সুরাহা প্রত্যাশিত ছিল। এমনকি বেশি রিটার্নের আশায় যে শেয়ার বা ফান্ডে টাকা রাখছিলেন অনেকে, সেখানেও মূলধনী লাভকরের বোঝা বেড়েছে। এতে চাপ বাড়বে সাধারণ লগ্নিকারীদের।
মঙ্গলবার ভোপালে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের সমাবর্তনে নির্মলার অবশ্য বক্তব্য, জলবায়ু পরিবর্তন রুখতে প্যারিস চুক্তি পালনের জন্য টাকা দরকার ভারতের। অন্যান্য দেশ থেকে তা আসার কথা থাকলেও, এখনও আসেনি। কিন্তু ভারত তার জন্য অপেক্ষা করেনি। তাঁর কথায়, ‘‘অর্থমন্ত্রী হিসেবে অনেক সময়ে আমাকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় যে, আমাদের কর ব্যবস্থা এমন কেন? কেন করের হার আরও কম নয়? আমার স্বপ্ন তা শূন্যের কাছাকাছি নামিয়ে আনা। কিন্তু ভারতের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ রয়েছে এবং সেগুলি পূর্ণ করা জরুরি।’’ এই চ্যালেঞ্জের অন্যতম হিসেবে গবেষণা-উন্নয়নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘‘সরকার শুধু বলে খালাস নয়। বরং গবেষণায় টাকা ঢালছে। সেই টাকা কর থেকেই সংগ্রহ করা হয়। আর আমার কাজ হল সাধারণ মানুষকে সমস্যায় না ফেলে সেই রাজস্ব জোগাড় করা।’’ বিকল্প বিদ্যুৎ সংরক্ষণে উপযুক্ত ব্যাটারি তৈরির জন্য এ দিন গবেষক মহলকে ডাক দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy