নির্মলা সীতারামন। ফাইল চিত্র।
ডিজিটাল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সিকে কি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হবে? নাকি লেনদেনের মাধ্যমের বদলে দেওয়া হবে সম্পদের স্বীকৃতি? শীতকালীন অধিবেশনে সংসদে এই সংক্রান্ত বিলটি পেশ হওয়া কার্যত নিশ্চিত হলেও, ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি এখনও স্পষ্ট নয়। শনিবার এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বক্তব্য, ‘‘ক্রিপ্টোকারেন্সি বিল নিয়ে বিভিন্ন রকম জল্পনা ছড়িয়েছে। যা একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে বিশদে আলোচনা করেই বিলটি পেশ করা হবে।’’ তিনি আরও জানান, ক্রিপ্টোকারেন্সির ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক সচেতন করার চেষ্টা করে চলেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। প্রয়োজনে সচেতনতার প্রচারে আরও পদক্ষেপ করা হবে।
বিভিন্ন সূত্রকে উল্লেখ করে একাধিক সংবাদমাধ্যমের বক্তব্য, সাধারণ মুদ্রার মতো লেনদেনের মাধ্যম তো নয়ই, বিদেশে অর্থ পাঠানো কিংবা বিদেশ থেকে অর্থ গ্রহণ করার (রেমিট্যান্স) ব্যবস্থা হিসেবেও স্বীকৃতি দেওয়া হবে না ক্রিপ্টোকারেন্সিকে। বিলের খসড়ায় থাকতে চলেছে তেমনই প্রস্তাব। পাশাপাশি, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক যাতে সরকারি ডিজিটাল মুদ্রা চালু করতে পারে তার জন্য সংশ্লিষ্ট হিসাবের খাতা এবং প্রয়োজনীয় কাঠামো তৈরির প্রস্তাব থাকতে চলেছে সেখানে। সেই মুদ্রাটির নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা শীর্ষ ব্যাঙ্কের হাতে থাকলেও, বাকি সমস্ত ক্রিপ্টোকারেন্সির উপরে নজরদারির দায়িত্ব সম্ভবত যেতে চলেছে বাজার নিয়ন্ত্রক সেবির হাতে। কড়া নজর রাখা হবে বিজ্ঞাপন-সহ যাবতীয় প্রচারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy