Advertisement
E-Paper

প্রবীণদের সুরক্ষা বাড়ুক, আর্জি অসরকারি সংস্থার 

ভারতে ৬০ বছরের বেশি বয়সি মানুষ এখন ১০%। ২০৫০ সালে তা ২০ শতাংশে পৌঁছবে। বাড়ছে প্রবীণ সমর্থ মানুষের সংখ্যা। সেই সঙ্গে শারীরিক ভাবে দুর্বল এবং অতিপ্রবীণেরা তো আছেনই।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৩ ০৬:৫৪
ন্যূনতম পেনশনে কেন্দ্রের অংশীদারি বাড়িয়ে অন্তত ৩০০০ টাকা করা উচিত।

ন্যূনতম পেনশনে কেন্দ্রের অংশীদারি বাড়িয়ে অন্তত ৩০০০ টাকা করা উচিত। প্রতীকী ছবি।

দেশের জনসংখ্যার নিরিখে প্রবীণ মানুষদের অনুপাত ক্রমশ বাড়ছে। এই অবস্থায় আগামী বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকার যাতে তাঁদের সামাজিক ও আর্থিক সুরক্ষার পরিধি বাড়ায়, তার জন্য একগুচ্ছ পরামর্শ পেশ করল কয়েকটি অসরকারি সংস্থা। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রক এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের উদ্দেশে এক বিবৃতিতে তাদের দাবি, বাজেট তৈরির সময়ে প্রবীণদের ন্যূনতম পেনশন বৃদ্ধি, বয়স্কদের ব্যবহার্য পণ্য ও পরিষেবায় জিএসটির হার কমানো, আয়করে আরও বেশি সুরাহা, প্রবীণদের বিভিন্ন জমা প্রকল্পে সুদ বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলির দিকে খেয়াল রাখুক সরকার।

অসরকারি সংস্থাগুলির বক্তব্য, ভারতে ৬০ বছরের বেশি বয়সি মানুষ এখন ১০%। ২০৫০ সালে তা ২০ শতাংশে পৌঁছবে। বাড়ছে প্রবীণ সমর্থ মানুষের সংখ্যা। সেই সঙ্গে শারীরিক ভাবে দুর্বল এবং অতিপ্রবীণেরা তো আছেনই। কিন্তু ক্রমবর্ধমান এই জনসংখ্যার জন্য আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা অপ্রতুল। ভারত ২০৪৭ সাল পর্যন্ত স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালন করছে। প্রবীণদের সুযোগ-সুবিধার দিকে নজর দিলে তা আরও সফল হতে পারে।

এজওয়েল ফাউন্ডেশনের বক্তব্য, মূল্যবৃদ্ধির হারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পেনশন সংশোধন হওয়া উচিত। ন্যূনতম পেনশনে কেন্দ্রের অংশীদারি বাড়িয়ে অন্তত ৩০০০ টাকা করা হোক। একই রকম পদক্ষেপের পরামর্শ দেওয়া হোক রাজ্য সরকারগুলিকেও। প্রবীণদের জন্য ব্যাঙ্ক ও ডাকঘরে যে সমস্ত আর্থিক প্রকল্প রয়েছে, বাড়ানো হোক তার সুদ। খতিয়ে দেখা হোক তাঁদের করছাড় বাড়ানোর মতো বিষয়। এর পাশাপাশি, প্রবীণদের জন্য স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বড় সুযোগ-সুবিধার দাবি করেছে সংস্থাগুলি। বলেছে, হুইলচেয়ার, ওয়াকারের মতো পণ্য, ওষুধ, প্রবীণদের ডায়াপার, সত্তরোর্ধ মানুষদের হাসপাতালে ভর্তি, স্বাস্থ্য বিমা ইত্যাদিতে জিএসটির হারকমানো হোক।

এজওয়েল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হিমাংশু রথ বলেন, ‘‘কম আয় এবং যৎসামান্য সঞ্চয়ের ফলে প্রবীণদের আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা পাওয়া কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাজেটের মাধ্যমে এই মানুষদের কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে সরকার।’’ হেল্পএজ ইন্ডিয়ার সিইও রোহিত প্রসাদের কথায়, ‘‘আয়করদাতা বাদে ৮০ বছরের বেশি সমস্ত মানুষকে প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার আওতায় নিয়ে আসুক কেন্দ্র। তার জন্য ওই প্রকল্পের ক্ষেত্রবাড়ানো হোক।’’

সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, দেশে বয়স্ক মানুষের অনুপাত বাড়লেও তাঁদের সামাজিক সুরক্ষা আদতে বছরের পর বছর কমেছে। মূল্যবৃদ্ধির কারণে ইদানীং বিভিন্ন প্রকল্পে সুদের হার বাড়লেও গত কয়েক বছরে তা ছিল নিম্নমুখী। মূল্যবৃদ্ধিকে অতিক্রম করার পক্ষে অপ্রতুল। স্বাস্থ্য খাতে খরচ দিনকে দিন বেড়ে চলেছে। সেই সঙ্গে কর্মীদের সাবেক পেনশন ব্যবস্থা থেকে ক্রমাগত সরে আসছে সরকার। ফলে প্রবীণদের জীবনযাপনে অনিশ্চয়তা বাড়ছে। অনেকে উদাহরণ হিসেবে বলছেন, প্রভিডেন্ট ফান্ডের পেনশন প্রকল্পে ন্যূনতম মাসিক পেনশন ১০০০ টাকা। অথচ গৃহস্থের রান্নার গ্যাসের দামই এখন তার চেয়ে বেশি। এই অবস্থায় প্রবীণদের সামাজিক সুরক্ষা বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানাল অসরকারি সংস্থাগুলি।

Pension Senior Citizens Central Government Old Age Pension Scheme
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy