এ বার কর্পোরেট দুনিয়ার ধাঁচে তথ্য বিশ্লেষণের হাত ধরে বাজারের নাড়ি বুঝতে চলেছে রাজ্য সরকার। লক্ষ্য, সরকারি নীতি নির্ধারণ এবং আমজনতার সমস্যার মূলে পৌঁছে চটজলদি সমাধানসূত্র বার করা।
ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, লিঙ্কডইনের মতো সোশাল মিডিয়ায় দুনিয়া জুড়ে রাশি রাশি তথ্য। এ ছাড়াও ব্যাঙ্ক, মোবাইল ফোন সংযোগ, বাড়ি-গাড়ি কেনাবেচার মতো দৈনন্দিন কাজকর্মের জন্য নাগরিক তথ্য জমা পড়ে। এই বিপুল তথ্যভাণ্ডার কাজে লাগিয়ে ব্যবসা বাড়াতে আগেই মাঠে নেমেছে কর্পোরেট মহল। ক্রেতার মন বুঝে নিতে যাবতীয় তথ্যের বিশ্লেষণ করছে তারা।
একই পথে হাঁটতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে নীতি নির্ধারণ। এই পরিকল্পনার প্রথম ধাপ হিসেবে আগামী ২৪ মার্চ বসছে আলোচনাসভা। উপস্থিত থাকার কথা মুখ্য সচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ সমস্ত দফতরের সচিবদের। মুখ্য বক্তা হিসেবে থাকবেন অধ্যাপক পুলক ঘোষ, যিনি বিশ্বে তথ্য বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে প্রথম সারির বিশেষজ্ঞদের একজন। আইআইএম বেঙ্গালুরু ও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক সচিবদের বোঝাবেন তথ্য বিশ্লেষণের খুঁটিনাটি।
বণিকমহলের কাছে ‘বিগ ডেটা’ বা তথ্যভাণ্ডারের কদর দিনে দিনে বাড়ছে। কারণ এই তথ্যের চুলচেরা বিচারই ক্রেতার পছন্দ-অপছন্দ, বাজারের চাহিদার মাপ ইত্যাদি জানিয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, একই ভাবে এই তথ্য সরকারকে দিশা দেখাতে পারে। তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধান খুঁজে নিতে পারা সম্ভব। নয়া নীতি তৈরি ও পুরনো নীতি সংশোধনেরও দিক নির্ধারণ করে দিতে পারে তথ্য বিশ্লেষণ। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবহণের মতো ক্ষেত্রে তথ্য বিশ্লেষণ কাজে লাগানোর সুযোগ ক্রমশ বাড়ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
ভারতে তথ্য বিশ্লেষণ সংস্থাগুলির বাজার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ন্যাসকমের দাবি ২০২৫ সালের মধ্যে এই বাজার ১৬০০ কোটি ডলার ছুঁয়ে যাবে। এখন এই বাজারে সিংহভাগ ক্রেতা কর্পোরেট দুনিয়ার। ভবিষ্যতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিও এই বাজারের ক্রেতা হয়ে উঠবে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের আশা। ছোট-বড় মিলিয়ে দেশে এখন ৬০০টি তথ্য বিশ্লেষণ সংস্থা কাজ করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy