উৎসবের মরসুমে জিনিসপত্রের কেনাকাটা বেড়েছে। তার ফলে বেড়েছে অনলাইনে আর্থিক লেনদেন। অনেকে ইউপিআই প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিচিত মানুষদের টাকা পাঠাচ্ছেন। কেউ কেউ পণ্যের বরাত দিয়ে পাঠাচ্ছেন অগ্রিম অর্থ। এই সবের ফলে অনলাইনে আর্থিক প্রতারণার ঝুঁকি বাড়ছে। সে কারণে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে পাঁচ দফা পরামর্শ জারি করল ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া (এনপিসিআই)। ডিজিটাল লেনদেনের নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের আশা, এগুলি মেনে লেনদেন করলে প্রতারণার আশঙ্কা অনেকটাই কমবে।
এনপিসিআই জানিয়েছে, প্রতারকেরা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম কিংবা ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইট বা অ্যাপের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওয়েবসাইট ও অ্যাপ তৈরি করে। সেখানে আসল-নকলের পার্থক্য বুঝে ওঠা কঠিন। সেগুলি ভাল করে খতিয়ে দেখে আর্থিক লেনদেনের পরামর্শ দিয়েছে এনপিসিআই। অযথা পপআপ বা লিংকে ক্লিক করতে নিষেধ করেছে তারা। আবার বেশ কিছু প্রতারক ক্রেতাদের পরিষেবা প্রদানকারী মূল ওয়েবসাইট বা অ্যাপের বাইরে আলাদা ইউপিআই আইডি কিংবা লিংকের মাধ্যমে লেনদেন করতে জোরাজুরি করে। সে ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে।
নিয়ন্ত্রকের সতর্কবার্তা, অনেক সময়ে ফ্রি ভাউচার কিংবা ক্যাশব্যাকের প্রলোভন দেখিয়ে মেসেজ আসে ফোন এবং ইমেলে। ওই সমস্ত বার্তায় ভুলেও হাত দেবেন না। দেবেন না কোনও উত্তর বা ব্যক্তিগত তথ্য। তা করলে নিমেষে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা হয়ে যেতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে আবার পার্সেল দেওয়া বা লেনদেন সম্পূর্ণ করার জন্য এককালীন পাসওয়ার্ড (ওটিপি) পাঠিয়ে থাকে জালিয়াতেরা। গোটা ব্যাপারটাই সাধারণ মানুষকে প্রতারণার জালে ফেলার কৌশল। এই ধরনের ওটিপি যেন কখনওই কাউকে না দেন মানুষ।
পরামর্শবার্তায় মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, অধিকাংশ সময়ে চাপের মুখেই মানুষ ভুল সিদ্ধান্ত নেন। প্রতারক দ্রুত ওটিপি এবং অ্যাকাউন্টের তথ্য জানানোর জন্য চাপ তৈরি করে। এই অবস্থায় মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে।
প্রতারণা এড়াতে
কেনাকাটা শুধু ই-কমার্স সংস্থার অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে।
টাকা মেটান শুধু সংস্থার সাইটে, লেনদেন অ্যাপে।
ফ্রি ভাউচার ও ক্যাশব্যাকে সতর্ক থাকুন।
ভুয়ো ওটিপি-তে সাবধান।
চাপে তাড়াহুড়ো নয়।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)