অর্জুন রাম মেঘওয়াল
শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত সংস্থাগুলির যে-রাজ্যে রেজিস্টার্ড অফিস, বর্তমান আইন অনুযায়ী সেখানেই তাদের বার্ষিক সাধারণ সভা করতে হয়। এ বার সেই বাধ্যবাধকতা থেকে তারা মুক্তি পেতে চলেছে। কোম্পানি আইন সংশোধনের মাধ্যমেই তা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল।
এই আইন সংশোধন করতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মেঘওয়াল জানান, এর অন্যতম উদ্দেশ্য ভারতে ব্যবসা করায় জটিলতা কমানো (ইজ অব ডুয়িং বিজনেস)। বার্ষিক সাধারণ সভার স্থান বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সংস্থা কর্তৃপক্ষকে আরও স্বাধীনতা দেওয়ার প্রস্তাব ওই উদ্দেশ্য সফল করারই অঙ্গ বলে মন্তব্য করেন মেঘওয়াল।
এ দিকে দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই সব থেকে বেশি সংখ্যক সংস্থা জিএসটিতে নতুন নথিভুক্ত হয়েছে বলে জানান মেঘওয়াল। শনিবার কলকাতায় বণিকসভা ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স এবং মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্সের সদস্যদের সঙ্গে জিএসটির সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। সেখানেই মেঘওয়াল জানান, পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই ৫৬ হাজার নতুন সংস্থা এবং ডিলার জিএসটিতে নথিভুক্ত হয়েছে। তারা আগে পরিষেবা কর বা ভ্যাটের আওতায় নথিভুক্ত ছিল না।
এ দিন মেঘওয়াল বণিকসভার সদস্যদের বলেন, ‘‘জিএসটির সুবিধা-অসুবিধার বিষয়গুলি সরেজমিনে খতিয়ে দেখার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার একটি বিশেষ দল গঠন করেছে। সেই দলে ৩০ জন মন্ত্রী ছাড়ও রয়েছেন ১৮০ জন আমলা। দলটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করেছে।’’ ওই সব তথ্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনে জিএসটির নিয়ম-কানুন পরিবর্তন করার বিষয়টি কেন্দ্র বিবেচনা করবে বলে জানান অর্থ প্রতিমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে রাজস্ব আদায় কতটা বাড়ে, তার উপরই নির্ভর করবে জিএসটি-র বিভিন্ন হার ঢেলে সাজা হবে কি না। এখন বিভিন্ন ধরনের পণ্যে ৫, ১২, ১৮ ও ২৮ শতাংশ হারে জিএসটি চালু রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy