Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
power

Power: বিদ্যুৎ ঘাটতি নিয়ে খারিজ কেন্দ্রের যুক্তি

কেন্দ্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ২০১.০৬৬ মেগাওয়াট। যা গত বছরের সর্বোচ্চ চাহিদাকে ছাপিয়ে গিয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২২ ০৬:৫৫
Share: Save:

অর্থনীতিতে গতি ফেরা, নাকি প্রখর গ্রীষ্মের দাবদাহ! সারা দেশে বিদ্যুতের চাহিদা হঠাৎ লাফিয়ে বেড়ে যাওয়ার আসল কারণ কী? এই প্রশ্নেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

বুধবার কেন্দ্র বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ২০১.০৬৬ মেগাওয়াট। যা গত বছরের সর্বোচ্চ চাহিদাকে (৭ জুলাই, ২০০.৫৩৯ মেগাওয়াট) ছাপিয়ে গিয়েছে। সরকারের বক্তব্য, আর্থিক কর্মকাণ্ডে গতি আসার ফলেই বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা। মার্চে চাহিদা বেড়েছে প্রায় ৮.৯%। মে-জুনে তা ২১৫.২২০ মেগাওয়াটে পৌঁছতে পারে। উল্টো দিকে, কয়েকটি রাজ্য স্পষ্ট জানাচ্ছে, তাদের চাহিদা বৃদ্ধির প্রধান কারণ গ্রীষ্মের প্রখর তাপ। চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে তৈরি হচ্ছে বিদ্যুৎ জোগানের ঘাটতিও। কেন্দ্রের দাবি, সমস্যা মেটাতে সব পক্ষ এক সঙ্গে কাজ করছে। পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের অবশ্য বক্তব্য, উৎপাদনে বা কয়লার জোগানে ঘাটতি নেই।

এই অবস্থায় কেন্দ্রকে বেঁধার সুযোগ হাতছাড়া করেনি কংগ্রেস। রাহুল গান্ধীর দাবি, অধিকাংশ রাজ্যেই আমজনতাকে আট ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকতে হচ্ছে। চাহিদা মেটাতে হিমসিম খাচ্ছে গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব। কয়লার সঙ্কটের ব্যাপারে তিনি কেন্দ্রকে সতর্ক করলেও সরকার তোয়াক্কাই করেনি।

জেএমএম-কংগ্রেস শাসিত ঝাড়খণ্ডেরও একই অবস্থা। রাঁচিতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে টুইটারে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনির স্ত্রী সাক্ষী। বিদ্যুৎ সমস্যার কথা মেনে নিয়ে মু্খ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বলেন, ‘‘এখন যা তাপমাত্রা চলছে, তা কল্পনার অতীত। বাজার থেকে চড়া দামে বিদ্যুৎ কেনাও কঠিন হয়ে পড়েছে।’’ তবে রাজ্যই সেই খরচ বহন করছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ওড়িশার বিদ্যুৎসচিব এন বি ঢালেরও দাবি, মে মাসে যে রকম থাকার কথা, এপ্রিলেই সেই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে রাজ্যকে। জেডিইউ-বিজেপি শাসিত বিহারের বিদ্যুৎসচিব সঞ্জীব হানসও আগাম গরম পড়াকে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন। তিনি জানান, একই সঙ্গে জল বিদ্যুতের উৎপাদন কমায় দৈনিক প্রায় ২০০ মেগাওয়াট ঘাটতি হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

power Centre
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE