প্রতীকী ছবি।
বিভিন্ন রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাঙ্ক কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটির (এসএলবিসি) কাছে আর্জি জানাল ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সংগঠন আইবিএ। সে জন্য প্রতিটি রাজ্যে প্রয়োজন মাফিক ব্যাঙ্কের শাখাগুলির সাধারণ কার্যপদ্ধতি বদলাতে বলেছে তারা। দেশে সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়তে থাকায় আইবিএ-র কাছে ব্যাঙ্ক কর্মী-অফিসারদের ন’টি ইউনিয়নের যৌথ মঞ্চ ইউএফবিইউ ইতিমধ্যেই পরিষেবায় কাটছাঁট করার আবেদন জানিয়েছে। তাদের দাবি, প্রতিদিন বহু ব্যাঙ্ক কর্মী সংক্রমিত হচ্ছেন। অনেকের মৃত্যুও হচ্ছে। ফলে আশঙ্কায় দিন কাটছে। অবস্থার উন্নতি না-হওয়া পর্যন্ত সীমিত পরিষেবার সঙ্গে মানুষের সঙ্গে সরাসরি লেনদেনের কাজগুলির সময় দিনে ঘণ্টা তিনেকে বাঁধা হোক।
তবে আজই অর্থ মন্ত্রক রাজ্য সরকারগুলিকে ব্যাঙ্ক কর্মীদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রতিষেধক দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ১ মে থেকে শুরু হতে চলা তৃতীয় দফায়। বলেছে, প্রতিটি রাজ্যে এ নিয়ে মুখ্য সচিবদের সঙ্গে সমন্বয়ের কাজ চালাবে সংশ্লিষ্ট এসএলবিসি-র আহ্বায়ক।
আইবিএ-র সিইও সুনীল মেহতাসব ব্যাঙ্ক প্রধানদের চিঠিতে বলেছেন, ‘‘এসএলবিসি-র আহ্বায়কদের পরামর্শ দিয়েছি মুখ্য মেডিক্যাল অফিসার এবং উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক-সহ সংশ্লিষ্ট সব মহলকে নিয়ে আলাদা করে বৈঠকে বসতে। যাতে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সেই অনুযায়ী সতর্কবার্তা জারি করা হয় ব্যাঙ্কগুলির জন্য।’’
মেহতার দাবি, স্থানীয় ভাবে সতর্কবার্তা জারি করাই এখন বেশি বাস্তবসম্মত। ব্যাঙ্কগুলিকে তাই বলা হয়েছে, অর্থনীতির অপরিহার্য অঙ্গ হিসেবে ব্যাঙ্ক অত্যাবশ্যক পরিষেবার আওতায় পড়ে। আর্থিক কর্মকাণ্ড মসৃণ রাখতেও ব্যাঙ্কিং লেনদেন নিরবচ্ছিন্ন ভাবে চালু থাকা প্রয়োজন। তবে এই মুহূর্তে দেশে দিনে সংক্রমণ তিন লক্ষ পেরনোয় ব্যাঙ্কের কর্মী এবং সেখানে আসা গ্রাহকদের নিরাপত্তার স্বার্থেই নিয়ন্ত্রিত পরিষেবার পদক্ষেপ স্থির করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এই লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ বিভিন্ন রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উপরে চাপ কমাতেও সাহায্য করবে বলে দাবি আইবিএ-র।
সংবাদ সংস্থা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy