Advertisement
E-Paper

লাইফ সার্টিফিকেট জমা অ্যাপেও

সূত্রের দাবি, প্রবীণ বা অতি প্রবীণ মানুষেরা পেনশনের দাবিদার হতে বেঁচে আছেন কি না, সেটা দেখার জন্য তাঁদের ব্যাঙ্ক, ডাকঘরে টেনে আনতে চায় না সরকার।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২২ ০৭:২০
সম্প্রতি আনা হয়েছে অ্যাপ মারফত মুখের ছবি মিলিয়ে (ফেস অথেন্টিকেশন) আধার ভিত্তিক ব্যবস্থা।

সম্প্রতি আনা হয়েছে অ্যাপ মারফত মুখের ছবি মিলিয়ে (ফেস অথেন্টিকেশন) আধার ভিত্তিক ব্যবস্থা। প্রতীকী ছবি।

এতদিন বায়োমেট্রিক (ছবি, আঙুল ও চোখের মণির ছাপ) ভিত্তিক পোর্টালের মাধ্যমে ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট (ডিএলসি) জমা দিতে পারতেন পেনশনভোগীরা। সম্প্রতি আনা হয়েছে অ্যাপ মারফত মুখের ছবি মিলিয়ে (ফেস অথেন্টিকেশন) আধার ভিত্তিক ব্যবস্থা। এ বছর কেন্দ্র, ব্যাঙ্ক, পিএফ দফতর-সহ সব পক্ষই এই প্রক্রিয়ায় জোর দিচ্ছে।

সূত্রের দাবি, প্রবীণ বা অতি প্রবীণ মানুষেরা পেনশনের দাবিদার হতে বেঁচে আছেন কি না, সেটা দেখার জন্য তাঁদের ব্যাঙ্ক, ডাকঘরে টেনে আনতে চায় না সরকার। তাই পোর্টাল তৈরি করে ডিজিটাল জমা শুরু হয়। কিন্তু বায়োমেট্রিকের বিড়ম্বনা হল, অনেক সময়েই বয়স্কদের আঙুলের ছাপ মেলে না। তখন উল্টে ঝক্কি আরও বাড়ে। এ বার তাই জীবিত থাকার প্রমাণ হিসেবে পেনশনভোগীর মুখের ছবি দেখে ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট জমার পদ্ধতিতে বেশি উৎসাহ দিচ্ছে তারা। এ জন্য দেশ জুড়ে প্রচার অভিযানও শুরু করেছে কেন্দ্র। স্টেট ব্যাঙ্ক এবং পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের সহায়তায় বিভিন্ন রাজ্যে শিবির করছে কেন্দ্রীয় পেনশনার অ্যান্ড পেনশনার্স ওয়েলফেয়ার বিভাগ (ডিওপিপিডব্লিউ)। পশ্চিমবঙ্গে প্রথম শিবিরটি বুধবার হয় শ্রীরামপুরে। বহু পেনশনভোগী সেখানে ফেস অথেন্টিকেশন পদ্ধতি শিখে হাতে-কলমে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেন। স্টেট ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার শিবির হবে হাওড়ায়। শুক্রবার কলকাতায় সদর দফতর সমৃদ্ধি ভবনে।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ জানান, ১-১৯ নভেম্বর ২৪টি শহরে শিবির করেছে কেন্দ্রীয় পেনশন প্রাপকদের নানা সংগঠন, ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্ক, আধার কর্তৃপক্ষ ইউআইডিএআই, কন্ট্রোলার জেনারেলঅব ডিফেন্স অ্যাকাউন্টস, ন্যাশনাল ইনফর্মেটিক্স সেন্টার। সচেতনতা কর্মসূচি দু’সপ্তাহ বাড়ানো হবে।

পেনশনভোগীদের প্রতি বছর নভেম্বরে লাইফ সার্টিফিকেট দিতে হয়। বয়স ৮০ বছরের বেশি হলে অক্টোবরেও দেওয়া যায়। চাইলে প্রবীণরা ব্যাঙ্ক, ডাকঘরে গিয়ে জমা দিতে পারেন। কিছু ক্ষেত্রে যে দফতর পেনশন মঞ্জুর করেছে, সেখানে যাওয়া যায়। তবে অনেকের পক্ষে তা অসুবিধাজনক বলে ডিজিটাল প্রক্রিয়া আনা হয়। নেট ব্যবহার করতে না পারলে বা অসুস্থ হলে বাড়ি গিয়ে পরিষেবা দেওয়া হয়। ডিওপিপিডব্লিউ-এর সচিব ভি শ্রীনিবাস বলেন, ১.৯০ লক্ষ পেনশনারদের বাড়িতে গিয়ে ডিএলসি করান ডাক সেবক। বিদেশে থাকলে ওটিপি মারফত জমা হয়। সে ব্যাপারে ভারতীয় দূতাবাসগুলিকে সাহায্য করতে বলা হয়েছে।

Pensioners Life Certificate
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy