মূলত তেল সংস্থার দেওয়া লভ্যাংশ বাড়ানোর দাবিতে গত ১৯ ও ২৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় ১৫ মিনিট করে পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখেন মালিকরা। তবে তাতে সাড়া মেলেনি তেল সংস্থা বা পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের তরফে। এ বার প্রতিবাদ কর্মসূচির তৃতীয় দফায় আজ, বৃহস্পতিবার তেল সংস্থাগুলি থেকে জ্বালানি কিনবেন না পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের প্রায় ৫৩ হাজার পাম্প মালিক। যতক্ষণ পর্যন্ত বুধবারের মজুত থাকবে, শুধু ততক্ষণই বিক্রি চলবে।
ফলে সংশ্লিষ্ট মহলের আশঙ্কা, তেলের অভাবে এ দিন অচল হয়ে পড়তে পারে বহু পাম্প। এমনকী শুক্রবার নতুন তেল না-ভরা পর্যন্ত অনেকগুলিতে তেল না-ও মিলতে পারে। প্রতিবাদ কর্মসূচির চতুর্থ দফায় ১৫ নভেম্বর পাম্পে তেল কেনা ও বেচা, দু’টোই বন্ধ থাকার কথা।
একগুচ্ছ দাবি-দাওয়া নিয়ে অক্টোবর ও নভেম্বরে মোট চার দিন সাময়িক ও পূর্ণ সময়ের জন্য পাম্প বন্ধের ডাক দিয়েছিল পাম্প মালিকদের সংগঠন অল ইন্ডিয়া পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন। বুধবার ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা জানান তাঁদের দাবির মধ্যে আছে— তেল সংস্থার কাছ থেকে পাম্প মালিকদের প্রাপ্য লভ্যাংশ নির্ণয়ের পদ্ধতি বদল ও তার হার বৃদ্ধি। উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি না-হওয়া পর্যন্ত তেলে ইথানল না-মেশানো। কারণ, তাতে গাড়ির ক্ষতি হতে পারে। পাম্প মালিকদের অভিযোগ, তেল সংস্থা এবং পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক, কেউই তাঁদের সমস্যায় কান দিচ্ছে না। যদিও ইন্ডিয়ান অয়েলের এক কর্তার দাবি, ২০১০ সালের পর থেকে প্রতি বছর ডিলারদের কমিশন বাড়ানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy