Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪
edible oil

ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশ, উদ্বিগ্ন অমিত শাহের মন্ত্রিগোষ্ঠী

সরকারি পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, গত ১ বছরে বাদাম, সরষে, বনস্পতি, সয়াবীন, সানফ্লাওয়ার এবং পাম তেলের দাম অনেকটাই বেড়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২০ ১৩:৪৪
Share: Save:

ভোজ্য তেলের দাম গত ১ বছরে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। করোনা কালের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে তৈলবীজের চাষে। দেশে বন্ধ হয়েছে একাধিক ভোজ্য তেলের কারখানা। এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বাড়ছে কেন্দ্রের।

সরকারি সূত্রের খবর, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে ভোজ্য তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। কেন্দ্র পেঁয়াজের আমদানি বাড়িয়ে দাম কিছুটা কমাতে পেরেছে। রোধ করা গিয়েছে আলুর দামের ঊর্ধ্বগতি। এই পরিস্থিতিতে ভোজ্য তেলের দাম নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে ভাবছে কেন্দ্র।

সরকারি পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, গত ১ বছরে বাদাম, সরষে, বনস্পতি, সয়াবিন, সানফ্লাওয়ার এবং পাম তেলের দাম কম-বেশি বেড়েছে। এর মধ্যে সয়াবিন, সানফ্লাওয়ার এবং পাম তেলের দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত।

চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে কলকাতা শহরে সরষের তেলের গড় দাম দাঁড়িয়েছে লিটার প্রতি ১৩৭ টাকা। গত বছর এই সময় তা ছিল গড়ে ১০১ টাকা। বনস্পতি তেল গত বছর এই সময় ৭২ টাকা লিটার দরে বিক্রি হলেও তা এখন ১০০-য় পৌঁছেছে। ২০১৯ সালের ১৮ অক্টোবর সয়াবিন তেলের সরকারি দর ছিল লিটার প্রতি ৯০ টাকা। এখন তা ১১০। কলকাতার ক্ষেত্রে তা ৯৪ থেকে বেড়ে ১১৩ টাকা।

আরও পড়ুন: মেঠো কবাডি থেকে সবুজ গল্ফ কোর্সে, নব্য অবতারে ময়দানে নয়া দিলীপ

গত নভেম্বরে শহরে সানফ্লাওয়ার তেলে ১০২ টাকা লিটারে বিকোলেও এখন তা ১৩৫। ১৫৬ টাকা লিটারের বাদাম তেল পৌঁছেছে ১৭০ টাকায়। এক বছর আগেকার ৮৫ টাকার পাম তেল হয়েছে ১০৪ টাকা লিটার। পাম তেল মূলত মালয়েশিয়া থেকে আমদানি করা হয়। গত ৪ মাসে করোনার কারণে সে দেশের তেল উৎপাদন অনেক কমে গিয়েছে। ভারতে আমদানি করা পাম তেলের ৭০ শতাংশই ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফ্রাইং’-এর কাজে ব্যবহার করে বিভিন্ন খাদ্য প্রস্তুতকারী সংস্থা। ফলে নানা স্ন্যাক্স এবং জাঙ্ক ফুডের বাজারে এর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আরও পড়ুন: কাশ্মীরে ভোট বানচালে সক্রিয় পাকিস্তান, জানাল গোয়েন্দা রিপোর্ট

প্রসঙ্গত, করোনা সঙ্কটের আবহেই গত অগস্টে হলদিয়ায় বন্ধ হয়ে যায় রাজ্যের অন্যতম বড় ভোজ্য তেল কারখানা। কর্মহীন হন জেভিএল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মালিকানাধীন কারখানার শতাধিক স্থায়ী-অস্থায়ী কর্মী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE