দাম কমল অশোধিত তেলের। প্রতীকী চিত্র।
চড়া মূল্যবৃদ্ধি-সহ নানা কারণে বিশ্ব জুড়ে মন্দার আশঙ্কা বহাল। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ কমারও ইঙ্গিত নেই। বরং ইউক্রেনে আগ্রাসনের আর্থিক জমি কাড়তে ইউরোপ, আমেরিকা-সহ পশ্চিম দুনিয়া রাশিয়ার তেলের দামের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়ায় পরিস্থিতি জটিল হয়েছে। পাল্টা রফতানি বন্ধের হুমকি দিচ্ছে মস্কো। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এই পরিস্থিতি বিশ্ব জুড়ে সঙ্কট আরও বাড়াতে পারে, এই আশঙ্কায় পড়ছে অশোধিত তেলের দর। বুধবার রাতে ব্রেন্ট ক্রুড ব্যারেলে নামে ৭৭.১৬ ডলারে। আমেরিকার ডব্লিউটিআই তেল হয় ৭১.৯৪ ডলার। এর আগে ব্রেন্ট ৩ জানুয়ারি ছিল ৭৮.৯১ ডলার। ডব্লিউটিআই এক বছরে সর্বনিম্ন।
যদিও বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমার প্রতিফলন এখনও দেশে পড়েনি। প্রায় আট মাস ধরে পেট্রল-ডিজ়েল স্থির। কলকাতায় আইওসির পাম্পে পেট্রল লিটারে ১০৬.০৩ টাকা। ডিজ়েল ৯২.৭৬ টাকা।
অতিমারির ধাক্কা কাটিয়ে উঠলেও, যুদ্ধের আবহে বিশ্ব জুড়ে চড়া মূল্যবৃদ্ধি এবং তাকে রুখতে সমস্ত দেশে সুদ বৃদ্ধি তেলের বাজারে অস্থিরতা তৈরি করেছে। এক দিকে তার চাহিদা ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা, অন্য দিকে জোগান ঘিরে অনিশ্চয়তা। তার উপরে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলির বৃহত্তর গোষ্ঠীঅশোধিত তেলের দরের পতন রুখতে তৎপর। আবার জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি রাশিয়ার তেলের দর ব্যারেল প্রতি ৬০ ডলারে বেঁধে দেওয়ার পাল্টা হিসেবে কিছু দেশকে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধের হুমকি দিয়েছে মস্কো। ফলে সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ঘোরালো।
সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের মতে, লগ্নিকারীদের ধারণা রাশিয়ার তেলের দাম বাঁধা ও তা বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা চাপলেও, জোগানে সমস্যা হবে না। অর্থাৎ, মন্দার পরিস্থিতি তৈরি হলে চাহিদা কমবে। কিন্তু জোগান না কমলে দর বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকবে না। সেই অনিশ্চয়তাও তেলের দরের পতনে ইন্ধন জোগাচ্ছে। তবে পরে অশোধিত তেলের দর ওঠে। চিনে করোনাবিধি শিথিল হওয়া যার কারণ বলে ধারণা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy