বিভিন্ন রাজ্যে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাগুলির খরচ বাড়লেও, দীর্ঘ দিন ধরে গ্রাহকের মাসুল বাড়ানো হচ্ছে না। ফলে বাড়তে থাকা বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে গিয়ে তারা আরও বেশি সমস্যায় ডুবছে— এই যুক্তিতেই কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন বিশেষ মন্ত্রিগোষ্ঠী ঋণে জর্জরিত বণ্টন সংস্থাগুলিতে বেসরকারি পুঁজি টানার সুপারিশ করছে বলে খবর সূত্রের। ওই সূত্র জানিয়েছে, এর পথ হিসেবে ওই সব সংস্থার শেয়ার বাজারে ছেড়ে মূলধন জোগাড়ের পরামর্শ দিতে চলেছে মন্ত্রিগোষ্ঠী। তা তারা আগামী এপ্রিলে কেন্দ্রের কাছে জমা দেবে। গোষ্ঠী এটাও বলেছে, বণ্টন সংস্থায় টাকার জোগান অব্যাহত রাখতে অবিলম্বে সব পক্ষের পদক্ষেপ করা প্রয়োজন। অন্যথায় আরও গভীর আর্থিক সমস্যায় পড়তে পারে তারা। যা দেশবাসীর জন্যেও উদ্বেগের।
যদিও সূত্রের দাবি, বণ্টন সংস্থাগুলি বকেয়া আদায়ে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। বছর কয়েক আগের প্রায় ৫৬ হাজার কোটি টাকা থেকে তা নামাতে পেরেছে ৩০০০ কোটিতে। নগদের ঘাটতি মেটাতে তাদের ২০২১ থেকে ৩ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি সহায়তা দিয়েছে কেন্দ্র। ফের নগদ জোগানোর কথা ভাবা হচ্ছে। সে জন্য কোন কোন রাজ্যের বণ্টন সংস্থার অবিলম্বে টাকার দরকার, তা চিহ্নিত করবে মন্ত্রিগোষ্ঠী। বিদ্যুৎ মন্ত্রকের শীর্ষকর্তাদের একাংশের মতে, সংস্থাগুলি শেয়ার বাজারে নথিবদ্ধ হলে বছরভর তাদের অর্থের জোগান বহাল থাকবে।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর জানান, আসন্ন গ্রীষ্মে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা সর্বোচ্চ ২৬০ গিগাওয়াট হতে পারে। ২৭০ গিগাওয়াট পর্যন্ত উৎপাদনের ক্ষমতা রাখা হচ্ছে। গত বার ছুঁয়েছিল ২৪০ গিগাওয়াট। তাঁর দাবি, উৎপাদন সংস্থাগুলির কাছে ৫ কোটি টনের বেশি কয়লা রয়েছে। যা ২১ দিনের প্রয়োজন মেটাবে। আরও কয়লা লাগলেও সমস্যা হবে না। কুম্ভমেলা মিটলে রেলের রেকের সংখ্যা বাড়বে। ফলে কয়লা সরবরাহ নিয়ে চিন্তা নেই।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)