প্রতীকী ছবি।
চটের বস্তার চাহিদা বহাল থাকার ব্যবস্থা পাকা হল। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার আর্থিক বিষয়ক কমিটির সিদ্ধান্ত, ৩০ জুন পর্যন্ত (গত ১ জুলাই থেকে) আগের মতোই বাধ্যতামূলক ভাবে খাদ্যশস্য ভরতে ১০০% আর চিনির জন্য ২০% চটের বস্তা ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু রাজ্যে সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, এই পদক্ষেপ চটশিল্পের পক্ষে ইতিবাচক হলেও বাস্তবে তার সুযোগ নেওয়া যাবে কি? চটকলগুলি তো আগেই বলেছে, চাহিদা মতো বস্তা জোগাতে পারবে না তারা। কারণ, কাঁচা পাটের বেআইনি মজুতের ফলে কাঁচামালে টান পড়েছে। পুরোদমে বস্তা তৈরি করা যাচ্ছে না। তাই বস্তার ব্যবহার না-কমার সুখবরেও তেমন স্বস্তি পাচ্ছে না শিল্পের একাংশ।
জুট কমিশনার মলয়চন্দন চক্রবর্তীর অবশ্য দাবি, চটশিল্পকে শক্ত জমিতে দাঁড় করাবে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত। চটকল মালিকদের সংগঠন আইজেএমএ-র চেয়ারম্যান রাঘবেন্দ্র গুপ্তও এতে কারখানা কর্তৃপক্ষ, কয়েক লক্ষ শ্রমিক এবং পাট চাষিদের উন্নতি দেখছেন। যদিও সংগঠনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সঞ্জয় কাজারিয়ার মতে, কাঁচা পাটের সরবরাহ বাড়াতে দ্রুত কেন্দ্র-রাজ্যের যৌথ পদক্ষেপ জরুরি।
এ দিকে, বুধবারই কটন কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়াকে তুলো কেনার জন্য ১৭,৪০৮.৮৫ কোটি টাকা মঞ্জুর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার আর্থিক বিষয়ক কমিটি। ২০১৪-১৫ থেকে ২০২০-২১ সালের জন্য তা মঞ্জুর হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy