E-Paper

১০০০ খেলনা তৈরির কারখানা সংগঠিত করার চেষ্টা, আসানসোলে ‘টয় পার্ক’ তৈরির প্রস্তাব মন্ত্রীর

পরিসংখ্যান বলছে, বাংলায় তৈরি মোট খেলনার ৫% রফতানি হয়। অথচ মহারাষ্ট্র বা গুজরাতের ক্ষেত্রে তা ২০%।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৭:০৮
রাজ্যে মোট ১৪০০ খেলনা তৈরির কারখানা রয়েছে।

রাজ্যে মোট ১৪০০ খেলনা তৈরির কারখানা রয়েছে। —প্রতীকী চিত্র।

রাজ্যে অসংগঠিত ক্ষেত্রের ১০০০টি খেলনা তৈরির কারখানাকে সংগঠিত ক্ষেত্রের আওতায় নিয়ে আসার জন্য ‘টয় পার্ক’ গড়ার আর্জি জানাল খেলনা সংস্থাগুলি। সম্প্রতি বণিকসভা ভারত চেম্বার অব কমার্সে এই শিল্প নিয়ে আয়োজিত আলোচনাসভায় তাদের সংগঠন ‘ভারত টয় অ্যাসোসিয়েশন’ পশ্চিমবঙ্গের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের কাছে ওই আবেদন পেশ করে। তাতে সাড়া দিয়ে শ্রমমন্ত্রী আসানসোলে খেলনা পার্কটি গড়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।

এ রাজ্যে মোট ১৪০০ খেলনা তৈরির কারখানা রয়েছে। তার মধ্যে ৪০০টি সংগঠিত ক্ষেত্রের। বাকি সবই অসংগঠিত, জানান সংগঠনের সভাপতি অক্ষয় বিঞ্জরাজকা। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের খেলনা কারখানাগুলিতে প্রায় ১.৫ লক্ষ মানুষ কাজ করেন। গত ২০২২-এর হিসাব অনুযায়ী, সেগুলির মোট বার্ষিক আয় প্রায় ৬০০০ কোটি টাকা। আগামী দিনে এই শিল্প আরও সংগঠিত হলে তার হাত ধরে কর্মসংস্থানও বাড়বে।’’

পরিসংখ্যান বলছে, বাংলায় তৈরি মোট খেলনার ৫% রফতানি হয়। অথচ মহারাষ্ট্র বা গুজরাতের ক্ষেত্রে তা ২০%। বিঞ্জরাজকার দাবি, টয় পার্কটি তৈরি হলে রাজ্য থেকে রফতানি বাড়বে। ভারত চেম্বারের সভাপতি নরেশ পাচিসিয়া বলেন, ‘‘এ দেশে খেলনা তৈরির জন্য পরিবেশ বান্ধব সামগ্রী ব্যবহার করা হয়। যার জন্য বিশ্বে ভারতের সরবরাহ করা পণ্যের কদর আছে। তবে রফতানি বাড়াতে পণ্যে বৈচিত্র্য আনা জরুরি। এর জন্য নকশা এবং খেলনা তৈরির দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরিতে জোর দেওয়া দরকার। প্রয়োজন গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র গড়ে তোলাও।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Toys industry

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy