কলকাতা-সহ পূর্ব ভারতে দক্ষ কর্মীর অভাব নেই। অভাব নেই ভাবনারও। কিন্তু ঘাটতি রয়েছে সেই ভাবনাকে বাস্তবায়িত করে ব্যবসায়িক দিক দিয়েলাভজনক করে তোলার পরিকল্পনাতথা সার্বিক পরিবেশের। সেই কারণেই নতুন উদ্যোগ বা স্টার্ট আপের দুনিয়ায় অন্য অনেকের থেকে পিছিয়ে রয়েছে পূর্বাঞ্চল। বর্তমানে কলকাতা রয়েছে দেশের মধ্যে নবম স্থানে। পশ্চিমবঙ্গে নথিভুক্ত স্টার্ট-আপের সংখ্যা প্রায় হাজার। শুক্রবার এবিপি গোষ্ঠী আয়োজিত তথ্যপ্রযুক্তি সম্মেলন ইনফোকমের দ্বিতীয় দিনে আলোচনার অন্যতম বিষয়বস্তু ছিল স্টার্ট আপ, মূলত পূর্ব-ভারতে তার পরিস্থিতি। সেই সভাতেই কথায় কথায় উঠে এসেছে কলকাতায় এই উদ্যোগ রূপায়িত হওয়ার রাস্তায় প্রতিবন্ধকতার কথা।
আলোচনায় অংশ নেন অ্যামউডো-র প্রতিষ্ঠাতা অগ্নি মিত্র, গোমতীর প্রতিষ্ঠাতা প্রসেনজিৎ মুখোপাধ্যায়, অ্যাডামাস টেকের ডিরেক্টর সৌম্য শুভ্র রায়ের মতো স্টার্ট-আপ সংস্থার কর্ণধার এবং ইন্ডিয়া অ্যাক্সেলেরেটরের সিনিয়র অ্যানালিস্ট গুনিকা গ্রোভার, আইআইএম কলকাতা ইনোভেশন পার্কের চিফ বিজ়নেস অফিসার গৌরব কপূরের মতো লগ্নি জগতের ব্যক্তিত্বেরা। তাঁদের সকলেই একমত, শুধু সংস্থা তৈরি নয়। কী করে উদ্ভাবনী ভাবনাকে লগ্নিকারীদের কাছে তুলে ধরতে হবে এবং একই সঙ্গে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে ব্যবসার পরিসর বাড়াতে হবে সেটা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই বহু সংস্থার।
স্টার্ট-আপগুলিকে প্রশিক্ষণ দিয়ে, তাদের হাত ধরে এগিয়ে যাওয়ার পথ করে দেওয়া লগ্নিকারী তথা পরামর্শদাতার দায়িত্ব হলেও পূর্বাঞ্চলে ভাবমূর্তির সমস্যা, আতুঁড়ঘরের অভাব, স্টার্ট-আপ নিয়েলগ্নিকারীদের পুরনো ধ্যান-ধারণা বাধা তৈরি করছে। তবে গত ক’বছরে সেই ছবিটা পাল্টানোর ইঙ্গিত মিলছে বলেও এ দিন জানিয়েছেন তাঁরা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)