গত মাসে দেশে বেকারত্বের হার কমল নামমাত্র। বরং দেশের কাজের বাজার নিয়ে উদ্বেগ বহাল রেখে তা রইল ৫ শতাংশের উপরেই। জুনে ছিল ৫.৬%। জুলাইয়ে হল ৫.২%। সোমবার কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রকের ‘পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভে’ সমীক্ষাটি প্রকাশের পরে দুশ্চিন্তার পারদ চড়ে গিয়েছে গত মাসে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সি যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রায় ১৫ শতাংশের (১৪.৯%) কর্মহীন থাকার খবরেও। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এ ক্ষেত্রেও জুনের ১৫.৩% থেকে তার সামান্য নেমে আসা দেশে চাকরি-বাকরির পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা তেমন কমাতে পারেনি। তার উপর শহরে বেকারত্ব জুনের ৭.১% থেকে মাথা তুলে ৭.২% হয়েছে। তুলনায় গ্রামে তা কিছুটা কম। ৪.৯% থেকে কমে হয়েছে ৪.৪%।
সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, পাঁচ শতাংশের বেশি বেকারত্ব যথেষ্ট চড়া। মে মাসেও তা ছিল ৫.৬%। বিরোধী শিবির-সহ তাদের অনেকেরই দাবি, কর্মসংস্থানে যে বড় ঘাটতি রয়ে গিয়েছে এবং তা যে দেশের উন্নতির পথে অন্যতম বড় বাধা, মোদী সরকার তা বুঝতে পেরেছে বলেই উৎপাদন ভিত্তিক আর্থিক উৎসাহ প্রকল্পের ধাঁচে কর্মসংস্থান ভিত্তিক উৎসাহ প্রকল্প এনেছে। সেই প্রকল্প, প্রধানমন্ত্রী বিকশিত ভারত রোজগার যোজনার পোর্টাল চালু হল সোমবার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয় জানিয়েছেন, সমস্ত নিয়োগকারী এবং প্রথম চাকরি পাওয়া কর্মীরা এই প্রকল্পে আর্থিক উৎসাহ পাবেন। তার জন্য হয় পোর্টালে নথিবদ্ধ হতে হবে কিংবা উমঙ্গ অ্যাপে ইউএএন নম্বর আপলোড করতে হবে।
সরকারের বেকারত্বের হিসাব প্রসঙ্গে এ দিন কর্মী সংগঠন সিটুর সাধারণ সম্পাদক তপন সেন বলেন, ‘‘এই সংখ্যা আরও ভয়ানক হবে যদি বেকারত্বের হিসাব মোদী সরকার ঠিকঠাক ভাবে করে। পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সমীক্ষার বাইরে রাখা হয়েছে অস্থায়ী ভাবে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের। এই সব মানুষের বড় অংশ মাসের ১৫ দিনই কর্মহীন থাকেন।’’ পটনা আইআইটি-র অর্থনীতির অধ্যাপক রাজেন্দ্র পরামানিকের মতে, জুলাইয়ে কিছু ক্ষেত্রে বেকারত্ব সামান্য কমার কারণ মরসুমি। সরকার বেকারত্বের জন্য দায়ী কাঠামোগত এবং দীর্ঘমেয়াদি সমস্যাগুলি দূর করতে না পারলে, ধারাবাহিক ভাবে আর্থিক বৃদ্ধির পথে হাঁটাও কঠিন হবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)