E-Paper

খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সতর্ক করলেন শক্তিকান্ত

সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, আনাজ-সহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের দাম হয়তো আগের থেকে কিছুটা কমেছে। কিন্তু স্বস্তি দেওয়ার মতো জায়গায় নামেনি। দাম কমার প্রবণতাও ধারাবাহিক ভাবে বহাল থাকছে না।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:০৫
An image of Shakti Kanta Das

রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। —ফাইল চিত্র।

আগামী সোমবার জানা যাবে অক্টোবরে খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার কী ছিল। সেপ্টেম্বরে তা অগস্টের তুলনায় কিছুটা কমলেও (৫.০২%), আনাজের দামে এখনও বহু মানুষের পকেট পুড়ছে বলেই অভিযোগ বিভিন্ন মহলের। এই পরিস্থিতিতে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক সমীক্ষায় অর্থনীতিবিদদের বড় অংশের আশা, গত মাসে মূল্যবৃদ্ধি আরও মাথা নামাবে। নামতে পারে ৫ শতাংশের নীচে। তবে অন্য অংশের আশঙ্কা, তা সেপ্টেম্বরের থেকে বাড়বে। উদ্বেগ বাড়িয়ে জাপানের এক সভায় রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসেরও সতর্কবার্তা, বাস্তবে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার কমলেও সমস্যা খাদ্যপণ্যের বার বার বাড়তে থাকা দাম। আর এটাই ভারতের মাথাব্যথা।

সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, আনাজ-সহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের দাম হয়তো আগের থেকে কিছুটা কমেছে। কিন্তু স্বস্তি দেওয়ার মতো জায়গায় নামেনি। দাম কমার প্রবণতাও ধারাবাহিক ভাবে বহাল থাকছে না। কখনও কোথাও কোনওটা একটু কমছে তো দু’দিন পরেই আবার চড়ছে। এ ব্যাপারেই সতর্ক করেছেন শক্তিকান্ত। যা আখেরে সার্বিক ভাবে মূল্যবৃদ্ধির মাথা নামানোর পথে বড় বাধা।

মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে তাঁদের উদ্বেগ যে কমেনি, তা আগেও জানিয়েছিলেন শক্তিকান্ত। বলেছিলেন, তার হারকে ৪ শতাংশে না নামানো পর্যন্ত লড়াই চলবে। এ বারও তিনি পণ্যের দামে কড়া নজরদারির ইঙ্গিত দিয়েছেন। যাতে দরকার পড়লেই পদক্ষেপ করা যায়। সে ক্ষেত্রে সুদ আরও বাড়ানোর আশঙ্কাও বহাল বলে মনে করা হচ্ছে। অর্থনীতিবিদদের অনেকের ধারণা, যদি বাড়াতে আর না-ও হয়, তবু কমানোর রাস্তা এখনও বহু দূরে।

নভেম্বরের ৬-৯ তারিখে চালানো রয়টার্সের সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৫৩ জন অর্থনীতিবিদের ৮০% বলেছেন, অক্টোবরে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি নামতে পারে ৪.৮০ শতাংশে। যা হবে চার মাসে সর্বনিম্ন। বাকি ২০ শতাংশের মতে, তা সেপ্টেম্বরের হারকে ছাড়িয়ে পৌঁছতে পারে ৫.৫৫ শতাংশে।সমীক্ষায় এটাও উঠে এসেচে, মূল্যবৃদ্ধির কিছুটা মাথা নামানো সামান্য স্বস্তি দিলেও ৪ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রায় তাকে বেঁধে ফেলা দূর অস্ত্‌। ২০২৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধের আগে সেই সম্ভাবনা কম। আরবিআই আগামী জুন পর্যন্ত সুদ ৬.৫০ শতাংশেই (রেপো রেট, যে সুদে ব্যাঙ্কগুলিকে ধার দেয় আরবিআই) স্থির রাখবে। তার পরে তা ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমাতে পারে। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, অর্থনীতিবিদদের এই ধারণা থেকে স্পষ্ট মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ ঝেড়ে ফেলার সময় আসেনি। শক্তিকান্তও যেহেতু খাদ্যপণ্য নিয়ে সতর্ক করেছেন। খুচরো মূল্যসূচক হিসাবের অনেকটা জুড়ে যেগুলির দর।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Shakti Kanta Das Reserve Bank of India (RBI) RBI Governor market price

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy