মুখোমুখি: উর্জিত পটেল (বাঁ দিকে) ও অরুণ জেটলি। ফাইল চিত্র
ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের জন্য যে টাকা বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে তুলে রাখতে হয়, তার একটি অংশের সংস্থান করতে বাড়তি এক বছর সময় দেওয়ার কথা বলেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সম্প্রতি বোর্ড বৈঠকে এই সুপারিশ করেছে শীর্ষ ব্যাঙ্কের পরিচালন পর্ষদই। এতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে অন্তত এ বছর ৩০-৩৫ হাজার কোটি টাকা মূলধন কম জোগালেও চলত কেন্দ্রের। কিন্তু অর্থ মন্ত্রক সূত্রের খবর, ওই কম টাকা ঢালার সুযোগ নিতে চায় না তারা। তার বদলে প্রতিশ্রুতি মেনে ঢালা হবে পুরো ৫৪ হাজার কোটি টাকাই। যাতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মূলধনে টান না পড়ে।
অনাদায়ি ঋণের সমস্যার কারণে এই মুহূর্তে ছোট-মাঝারি শিল্পের অন্যতম সঙ্কট পর্যাপ্ত ঋণ না পাওয়া। একে নোটবন্দি এবং তড়িঘড়ি জিএসটি চালুর জোড়া ধাক্কায় এই শিল্প কাবু। তার উপরে এই ক্ষেত্রে যুক্তদের এক বড় অংশ বিজেপির ‘বিশ্বস্ত’ ভোট ব্যাঙ্ক। তাই ভোটের মুখে তাঁদের ক্ষোভ প্রশমনে মরিয়া কেন্দ্রের পাখির চোখ যে কোনও মূল্যে এই শিল্পের জন্য পর্যাপ্ত ঋণের বন্দোবস্ত।
এই অবস্থায় কেন্দ্রের দাবি ছিল, বাসেল-৩ বিধি অনুযায়ী ক্যাপিটাল অ্যাডিকোয়েসি রেশিও (প্রতি ১০০ টাকা ধার দিতে যত টাকা মূলধন বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ককে ঘরে রাখতে হয়) বড়জোর ৮% থাকলেই চলে। কিন্তু এ দেশে তা ৯%। ফলে বাড়তি টাকা আটকে থাকায় ধার দিতে পারছে না বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি। সম্প্রতি বোর্ড বৈঠকে এ নিয়ে বদলে রাজি হয়নি শীর্ষ ব্যাঙ্ক। কিন্তু তেমনই ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের জন্য যে টাকা তুলে রাখতে হয় (ক্যাপিটাল কনজ়ার্ভেশন বাফার বা সিসিবি), তার একটি অংশের সংস্থান করতে এক বছর সময় বাড়তি দেওয়া হয়েছে। এই সূত্রে কেন্দ্রের ইঙ্গিত, এই সুযোগে কম টাকা জোগাবে না তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy