প্রতীকী ছবি।
ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডে ‘টোকেনাইজ়েশন’ চালুর ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের হাতে সময় ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। অর্থাৎ আজই শেষ তার মেয়াদ। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক তা আর না বাড়ালে কার্ড মারফত অনলাইনে যে কোনও ব্যবসায়িক সংস্থার ওয়েবসাইট বা অ্যাপে টাকা মেটানোর ক্ষেত্রে আগামিকাল থেকেই কার্যকর হচ্ছে টোকেনাইজ়েশন পরিষেবা। সূত্রের দাবি, এতে ক্রেতার কার্ডের তথ্য সংস্থার কাছে পৌঁছবে না। ফলে তা জমাও থাকবে না। জালিয়াতির সুযোগ কমবে। ক্রেতা চাইলে টাকা মেটানোর সময় কার্ডের তথ্যের পরিবর্তে তাঁকে কোড বা টোকেন দিতে বাধ্য থাকবে সংস্থা। তাই দিয়েই হবে লেনদেন।
সূত্র জানাচ্ছে, ক্রেতাদের জন্য অবশ্য টোকেনাইজ়েশন বাধ্যতামূলক নয়। কেউ তা না চাইলে আপাতত পুরনো পদ্ধতিতেই কার্ডের মাধ্যমে দাম মেটাতে পারবেন। তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, কার্ডের তথ্য হাতিয়ে প্রতারণার ঘটনা কমাতে সাহায্য করবে লেনদেনের এই পদ্ধতি।
নেটে লেনদেন নিরাপদ করতে তিন বছর আগেই টোকেনাইজ়েশন আনতে উদ্যোগী হয় রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। ব্যবসায়ী সংস্থাগুলিকে এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা তৈরির নির্দেশ দেয়। তাদের কাছে নথিবদ্ধ ক্রেতাদের কার্ডের সমস্ত তথ্য মুছেও দিতে বলে। সূত্রের খবর, সমস্ত ব্যাঙ্ক এবং সিংহভাগ ব্যবসায়ীই নিয়ম মানতে তৈরি। কিছু ছোট ব্যবসায়ী সময়সীমা বৃদ্ধির দাবি তুলেছে। আরবিআই তা মানবে কি না নিশ্চিত নয়।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, কার্ডে কেনাকাটা করলে ওয়েবসাইট বা অ্যাপে সংস্থার কাছে সেটির নম্বর-সহ কিছু তথ্য নথিবদ্ধ হয়। নয়া নিয়মে পণ্য কেনার সময় একটি টোকেন নম্বর বা কোড দেওয়া হবে। ক্রেতার কার্ড, ফোন নম্বর, বিক্রেতার ওয়েবসাইট বা অ্যাপকে মিলিয়ে তৈরি হবে সেটি। নথিবদ্ধ ফোনে আসা ওটিপির মাধ্যমে যাচাই শেষ হলে কোডটি পাবেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy