অরুণ জেটলি
এ মাসের শুরুতেই প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে সায় দিয়েছে ভারত। যা উষ্ণায়ন থেকে সারা বিশ্বকে বাঁচানোর কর্মসূচি রূপায়ণের প্রক্রিয়ায় গতি আনবে বলে আশা। এই পরিস্থিতিতে পণ্য-পরিষেবা করকে (জিএসটি) হাতিয়ার করে এ বার পরিবেশ বাঁচানোর লড়াইয়ে নামার বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। জানিয়ে দিলেন, জিএসটি জমানায় পরিবেশ দূষণ ছড়ায় এমন সমস্ত পণ্যের উপর কর দিতে হবে বেশি। আর ওই বাড়তি করের টাকাই আবহাওয়া রক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য তহবিল বাড়ানোর কাজে লাগানো হবে।
শনিবার থেকে গোয়ার আগুয়াড়ায় শুরু হচ্ছে ব্রিকস গোষ্ঠীর দু’দিন ব্যাপী সম্মেলন। ভারতের পাশাপাশি এই গোষ্ঠীর বাকি সদস্যরা হল ব্রাজিল, রাশিয়া, চিন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সম্মেলন শুরুর আগে শুক্রবার জেটলির দাবি, ‘‘যে পণ্যগুলি পরিবেশ নষ্ট করে, জিএসটি জমানায় সেগুলিতে করের হার অন্য সব কিছুর তুলনায় বেশি রাখার পরিকল্পনা করেছি। বিষয়টি নিয়ে এখন আলাপ-আলোচনা চলছে।’’
বস্তুত, আগামী এপ্রিল থেকেই পণ্য-পরিষেবা কর চালু করতে কোমর বেঁধেছে কেন্দ্র। যে কারণে এই মুহূর্তে সরকারি মহলে করের হার চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া নিয়ে ব্যস্ততা তুঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে এ দিন জেটলি বলেন, দেশে কয়লা ও পেট্রোপণ্যের উপর আগেও এমন কর দিতে হয়েছে। এগুলির পাশাপাশি কেন্দ্র এ বার এই ধরনের সমস্ত উৎসকেই আলাদা করে তহবিল তৈরি করার কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। যাতে উষ্ণায়ন থেকে বিশ্বকে বাঁচানোর যে যুদ্ধে সামিল হয়েছে গোটা দুনিয়া, তাতে আরও ভাল ভাবে সামিল হতে পারে ভারত। পৌঁছতে পারে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে।
এ দিন জেটলি জানান, বিশ্ব জুড়ে জলবায়ু পরিবর্তন ও উষ্ণায়ন রুখতে উন্নত দেশগুলি যে তহবিল জোগানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে উন্নয়শীল দেশগুলিকে, তা ওই দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের লক্ষ্য ছোঁয়ার পক্ষে যথেষ্ট নয় একেবারেই। ফলে ভারতের মতো দেশের এই খাতে আরও বেশি পুঁজি নিয়ে এগোনো জরুরি হয়ে পড়েছে।
এ দিকে, ভারতের লগ্নিকারীদের জন্য টাকায় বন্ড ছেড়ে তহবিল সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে ব্রিকস গোষ্ঠীর তৈরি নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক। পরিকাঠামো প্রকল্পে পুঁজি জোগানোই যার লক্ষ্য। আগুয়াড়ায় শুক্রবার ওই ব্যাঙ্কের উচ্চপদস্থ এক কর্তার দাবি, ওই বন্ড ছাড়া হতে পারে আগামী বছরের প্রথম তিন মাসের মধ্যেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy