কিছু গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের অভিযোগ দু’দিন আগে ভিত্তিহীন বলে দাবি করলেও এ বার রিলায়্যান্স জিও পুলিশের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করল। সংস্থার অভিযোগ, ‘বেআইনি ভাবে’ কেউ তাদের সংযোগ ব্যবস্থার নাগাল পেয়েছে। এ ঘটনা সত্যি হলে তা হবে দেশে টেলিকম শিল্পে প্রথম তথ্য ফাঁসের ঘটনা। এ নিয়ে অবশ্য সংস্থাটির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
সম্প্রতি অভিযোগ ওঠে, একটি সাইটে জিও গ্রাহকদের একাংশের তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে। জিও অবশ্য বলেছিল ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাদের গ্রাহকদের তথ্য সর্বোচ্চ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় মোড়া। গত সেপ্টেম্বরে বাজারে আসার পরে জিও-র গ্রাহক সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়েছে। সকলের তথ্যই ফাঁস হয়ে গিয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
তদন্তকারী এক পুলিস অফিসার জানান, নভি মুম্বইতে পুলিশের সদর দফতরে মুকেশ অম্বানীর সংস্থাটি ওই অভিযোগ জানিয়েছে। উল্লেখ্য, এই তথ্য ফাঁসের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে রাজস্থান পুলিশ এক ব্যক্তিকে আটকও করেছে।
তবে গ্রাহকদের আধার-তথ্য ওই সাইটে ছিল না বলেও জানিয়েছিলেন কেউ কেউ। সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারও জানান, প্রাথমিক তদন্তে সে রকম কিছু হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, টেলিকম পরিষেবা শুরুর সময় থেকে আধার-তথ্যের ভিত্তিতে সিম সংযোগ দেওয়ার প্রক্রিয়া প্রথমে তারাই চালু করে।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, ভারতে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন যথেষ্ট জোরদার নয় বলেই গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির তরফে সেটা তাঁদের জানানো বাধ্যতামূলক নয়। ফলে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে তা চট করে প্রকাশ্যে আসে না। তাই সুরক্ষা আইন জোরদার করারও দাবি উঠছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy