ফাইল চিত্র।
ভারতী এয়ারটেলের লেগেছিল ১২ বছর। ভোডাফোন, আইডিয়ার লেগেছিল আরও এক বছর বেশি। আর জিওর লাগল ৩ মাসেরও কম। বাজারে আসার মাত্র ৮৩ দিনের মধ্যে ৫ কোটি গ্রাহকের মাইলস্টোন পার করল তারা।
টেলিকম ব্যবসায় কার্যত বিপ্লব ডেকে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বাজারে এসেছিল রিলায়্যান্স জিও। ফ্রি কল, প্রায় বিনামূল্যের ৪জি পরিষেবা-সহ একাধিক আকর্ষণীয় অফারে কেঁপে গিয়েছিল টেলিকম দুনিয়া। হুড়মুড় করে পড়তে থাকে অন্য টেলিকম সংস্থাগুলির শেয়ার দর। ডেটাগিরির রকেটে চেপে কার্যত ৪জি গতিতেই গ্রাহকের কাছে পৌঁছয় জিও। গ্রাহকও লম্বা লাইন দিয়ে সাগ্রহে সেই রকেটে বসে পৌঁছয় ডেটার দুনিয়ায়। জিও উদ্বোধনের দিন সংস্থার কর্ণধার মুকেশ অম্বানী জনিয়েছিলেন, যত দ্রুত সম্ভব ১০ কোটি গ্রাহক যোগার করাই তাদের লক্ষ। সেই লক্ষে ইতিমধ্যেই অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে জিও।
সূত্রের খবর, বাজারে আসার ৮৩ দিনের মধ্যেই ৫ কোটি গ্রাহক যোগার করে ফেলেছে তারা। জিওর তরফে দাবি করা হয়েছে, মিনিটে হাজার সিম দিয়ে ইতিমধ্যেই রেকর্ড করে ফেলেছেন তারা। "১০ কোটির ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতে আর বেশি সময় লাগবে না আমাদের"-- দাবি করলেন সংস্থার এক আধিকারিক।
সেলুলার অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, এয়ারটেলের গ্রাহক সংখ্যা ২৬.২৭ কোটি, ভোডাফোনের ২০.২ কোটি। সে ক্ষেত্রে মাত্র তিন মাসেই টেলিকম ইন্ডাস্ট্রির বিগ টু কে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে জিও।
মোট গ্রাহক সংখ্যায় একটু পিছিয়ে থাকলেও ডেটা ব্যবহারকারি গ্রাহকের হিসাবে কিন্তু বাকিদের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে জিও। ৩জি এবং ৪জি মিলিয়ে এয়ারটেলের গ্রাহক যেখানে ৪ কোটির কিছু বেশি, সেখানে জিওর গ্রাহক সংখ্যা এখনই ৫ কোটি।
বাজারে আসার পর থেকেই জিওর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, কল ড্রপ এবং কানেক্টিভিটির। ইদানিং গ্রাহকদের অভিযোগ, ডেটা স্পিড কিছুটা কমেছে জিওর। আগমী দিনে এই সমস্যাগুলি জিও কতটা কাটিয়ে উঠতে পারবে সেটাই এখন দেখার।
আরও পড়ুন:
জলের দরে ‘জিও’ নেওয়ার সময় এই সমস্যাগুলোয় পড়ছেন না তো!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy