তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে যারা কাজ হারিয়েছে তাদের পাশে সিলিকন ভ্যালি।
গত নভেম্বর থেকে আমেরিকার প্রযুক্তি সংস্থাগুলি অন্তত দু’লক্ষ কর্মী ছাঁটাই করেছে। কাজ খোয়ানো কর্মীদের একটা বড় অংশ এইচ-১বি ভিসাধারী ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ। তাঁদের পাশে এ বার দাঁড়ালেন সিলিকন ভ্যালির জনপ্রতিনিধিরা। আমেরিকার আভিবাসন দফতরকে চিঠি লিখে তাঁদের আবেদন, ওই ভিসাপ্রাপ্ত পেশাদারেরা যেন কাজ খোয়ানোর পরেও সে দেশে থাকতে পারেন। খুঁজতে পারেন নতুন কাজ। এর আগে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এবং অভিবাসীদের সংগঠনও কাজ হারানো মানুষদের হয়ে মুখ খুলেছিলেন।
এইচ-১বি ভিসা কাজে লাগিয়ে আমেরিকার প্রযুক্তি সংস্থাগুলি অন্য দেশ থেকে দক্ষ পেশাদারদের নিয়ে যায়। সবচেয়ে বেশি পেশাদার যান ভারত এবং চিন থেকে। কিন্তু সম্প্রতি গুগ্ল, মাইক্রোসফট, অ্যামাজ়ন, মেটা-সহ বিভিন্ন সংস্থা বিপুল কর্মী সঙ্কোচনের পথে হেঁটেছে। ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, এই দফায় ছাঁটাই হওয়া কর্মীর সংখ্যা ২০২২ সালের মোট ছাঁটাইকে ছাপিয়ে গিয়েছে। কাজ খোয়ানো কর্মীদের ৩০%-৪০% ভারতীয়। দীর্ঘ মেয়াদে এর বিরূপ প্রভাব আমেরিকার উপরে পড়তে পারে।
গোটা বিষয়টি নিয়ে আমেরিকার নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবা দফতরের (ইউএসসিআইএস) ডিরেক্টর মেনডোজ়া জাড্ডোউকে চিঠি দিয়েছেন রো খন্না, জো লোফগ্রেন, জিমি পানেট্টা, কেভিন মুলিনের মতো কংগ্রেস সদস্য। তাঁদের বক্তব্য, এই কর্মীদের দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হলে ভবিষ্যতে দেশের অর্থনৈতিক দক্ষতার উপরে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। নতুন কাজ খুঁজতে তাঁদের আরও সময় দেওয়া হোক। জনপ্রতিনিধিদের আরও দাবি, অভিবাসীদের উপরে ছাঁটাইয়ের প্রভাব নিয়ে সবিস্তার তথ্য প্রকাশ করুক দফতর। এখনও পর্যন্ত কত জন এইচ-১বি ভিসাধারীর চাকরি গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে কত জন দেশ ছেড়েছেন, কত জন আইন মোতাবেক দেশে রয়েছেন, বেআইনি ভাবেই বা কত জন রয়েছেন, এই সমস্ত তথ্য প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। কাজহারা কেউ নতুন ভিসার আবেদন জানালে কত দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত হচ্ছে, তা-ও জানতে চেয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy