Advertisement
E-Paper

ব্রিটেনে টাটাদের ব্যবসা কিনতে জোট বাঁধতে পারেন সঞ্জীব-উইলকি

এত দিন তাঁরা ছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী। কারণ, দু’জনেই ব্রিটেনে টাটা স্টিলের লোকসানে চলা ব্যবসা কেনার জন্য আগ্রহপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সূত্রের ইঙ্গিত, এ বার তাঁরা হয়ে উঠতে পারেন সহযোগী। আর সেটাও ওই ব্যবসা কেনার সূত্র ধরেই।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৬ ০২:৩৪

এত দিন তাঁরা ছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী। কারণ, দু’জনেই ব্রিটেনে টাটা স্টিলের লোকসানে চলা ব্যবসা কেনার জন্য আগ্রহপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সূত্রের ইঙ্গিত, এ বার তাঁরা হয়ে উঠতে পারেন সহযোগী। আর সেটাও ওই ব্যবসা কেনার সূত্র ধরেই।

এক জন সঞ্জীব গুপ্ত। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ শিল্পপতি। যাঁর সংস্থার নাম লিবার্টি হাউস। আর অন্য জন স্টুয়ার্ট উইলকি। ব্রিটেনের বৃহত্তম ইস্পাত কারখানা, টাটা স্টিলের পোর্ট ট্যালবটের প্রাক্তন প্রধান। বর্তমানে দর হেঁকে পরিচালনার রাশ হাতে নেওয়ার সংস্থা এক্সক্যালিবারের কর্ণধার।

টাটাদের ব্যবসা কেনার দৌড়ে প্রথম সারিতে রয়েছে এক্সক্যালিবার ও লিবার্টি হাউস। তবে শিল্পমহল সূত্রে ইঙ্গিত, এ বার এই ব্যাপারে জোট বেঁধে এগোনোর কথা ভাবছে সংস্থা দু’টি। সে ক্ষেত্রে ওই ব্যবসা কেনার জন্য গুপ্তের লিবার্টি হাউসকে সমর্থন করবে উইলকির এক্সক্যালিবার।

ওই সূত্রটি জানিয়েছে, গত শুক্রবারই চিফ এগ্‌জিকিউটিভ উইলকি ও চেয়ারম্যান রজার ম্যাগস-সহ এক্সক্যালিবারের এক প্রতিনিধিদল গুপ্তের লন্ডন দফতরে গিয়ে বৈঠক করেছেন। ইঙ্গিত মিলেছে, সেখানে আলোচনার টেবিলে বসে ওই প্রতিনিধিরা ব্রিটেনে টাটাদের কারখানাগুলি ঘিরে লিবার্টি হাউসের পরিকল্পনাকেই সমর্থনের কথা বলেছেন। যে-পরিকল্পনায় খরচ কমিয়ে টাটাদের ব্যবসাকে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে গুপ্তের প্রস্তাব ছিল, নতুন করে আকরিক লোহা ও কোক থেকে ইস্পাত তৈরির বদলে ফেলে দেওয়া পুরনো ইস্পাত ও ছাঁট লোহাকেই ফের কাজে লাগানোর। বলেছিলেন, ইস্পাত তৈরির জন্য ব্লাস্ট ফার্নেস ব্যবস্থা তুলে দিয়ে, তার বদলে বিদ্যুৎ চালিত আধুনিক আর্ক ফার্নেস ব্যবহারের কথাও।

ভারতীয় ইস্পাত বহুজাতিকটি র ব্রিটিশ ব্যবসা হাতে নিতে দর হাঁকার জন্য টাটাদের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামী কাল দুপুরে। জমা পড়া আগ্রহপত্রগুলির চূড়ান্ত বাছাইয়ের জন্য বুধবার মুম্বইয়ে টাটা গোষ্ঠীর সদর দফতরে বৈঠকে বসবে সংস্থার পরিচালন পর্ষদ।

ব্রিটিশ বাণিজ্য সচিব সাজিদ জাভিদেরও বিক্রির কর্মকাণ্ড শুরুর আগে মুম্বইয়ে যাওয়ার কথা। কারণ, সে দেশের ইস্পাত শিল্পে প্রাণ ফেরানোর লক্ষ্যে ওই কারখানাগুলির সম্ভাব্য ক্রেতাকে ঋণ দেওয়া ও সেখানে টাটাদের ব্যবসার ২৫% অংশীদারি নিজের হাতে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি আগেই দিয়েছিল ব্রিটিশ প্রশাসন। লক্ষ্য, যাতে টাটারা কারখানাগুলি ছেড়ে যাওয়ার পরেও সেগুলিতে তালা না-ঝোলে। ছাঁটাইয়ের কোপ থেকে বাঁচানো যায় কর্মীদের।

চিনের সস্তার ইস্পাত, চাহিদার অভাব, চড়া উৎপাদন খরচের ধাক্কায় লোকসানে ভুগে টাটারা ব্রিটেনের ব্যবসা গুটোনোর পথে যাওয়ায় প্রায় ১১ হাজার কর্মীর বেকার হওয়ার আশঙ্কা। এগুলি কিনে নেওয়ার জন্যই আগ্রহপত্র জমা দিয়েছে ৭টি সংস্থা। দৌড়ে শীর্ষে লিবার্টি হাউস ও এক্সক্যালিবার।

Tata Sanjeeb Britain
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy