Advertisement
E-Paper

দুশ্চিন্তা কাটেনি বিদেশি সংস্থার, ফের পড়ল সূচক

মাঝে এক দিনের বিরতি দিয়ে ফের পড়ল শেয়ার বাজার। আগের দিন ২১৪ পয়েন্ট ওঠার পরে বৃহস্পতিবার সেনসেক্স নামল ১৫৫.১১ পয়েন্ট। বাজার বন্ধের সময়ে সূচক এসে থিতু হল ২৭,৭৩৫.০২ পয়েন্টে। বুধবার বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির উপর চাপানো প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার করের বোঝা অনেকটাই লাঘব করার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। অর্থ মন্ত্রক জানায়, যে-সব দেশের সঙ্গে ভারতের দ্বৈত কর প্রতিরোধ চুক্তি আছে, তাদের আর্থিক সংস্থার ওপর বসবে না ওই বিতর্কিত ন্যূনতম বিকল্প কর (মিনিমাম অলটার্নেট ট্যাক্স বা ম্যাট)। বাদবাকি দেশের লগ্নিকারীরাও এই কর এড়াতে আদালতে আর্জি জানাতে পারবেন। ফলে সিঙ্গাপুর ও মরিশাসের লগ্নিকারীরা রেহাই পাবেন, কারণ ওই দু’দেশ চুক্তির অন্তর্ভুক্ত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:৪৪

মাঝে এক দিনের বিরতি দিয়ে ফের পড়ল শেয়ার বাজার। আগের দিন ২১৪ পয়েন্ট ওঠার পরে বৃহস্পতিবার সেনসেক্স নামল ১৫৫.১১ পয়েন্ট। বাজার বন্ধের সময়ে সূচক এসে থিতু হল ২৭,৭৩৫.০২ পয়েন্টে।

বুধবার বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির উপর চাপানো প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার করের বোঝা অনেকটাই লাঘব করার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। অর্থ মন্ত্রক জানায়, যে-সব দেশের সঙ্গে ভারতের দ্বৈত কর প্রতিরোধ চুক্তি আছে, তাদের আর্থিক সংস্থার ওপর বসবে না ওই বিতর্কিত ন্যূনতম বিকল্প কর (মিনিমাম অলটার্নেট ট্যাক্স বা ম্যাট)। বাদবাকি দেশের লগ্নিকারীরাও এই কর এড়াতে আদালতে আর্জি জানাতে পারবেন। ফলে সিঙ্গাপুর ও মরিশাসের লগ্নিকারীরা রেহাই পাবেন, কারণ ওই দু’দেশ চুক্তির অন্তর্ভুক্ত।

আশা ছিল, এর ইতিবাচক প্রভাব বৃহস্পতিবার পড়বে বাজারে। কিন্তু বাস্তবে ঘটল উল্টোটা। যার কারণ, বিদেশি লগ্নিকারীদের মধ্যে ম্যাট নিয়ে দুশ্চিন্তা না-কাটা। উপরন্তু এ পর্যন্ত যে-সব সংস্থার ২০১৪-’১৫ অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিকের আর্থিক ফলাফল বেরিয়েছে, সেগুলিতেও অখুশি বাজার।

গত সাত দিনের লেনদেনে মাঝের ওই এক দিন ছাড়া টানা পড়েছে সূচক। এ দিন অবশ্য লেনদেনের পুরো সময়টা জুড়েই সূচক দ্রুত ওঠানামা করে। প্রথমে তার মুখ ছিল উপরের দিকে। এক সময়ে তা ২৮ হাজারের ঘরেও চলে যায়। কিন্তু বাজার বন্ধের ঘণ্টাখানেক আগে থেকে লগ্নিকারীদের মধ্যে শেয়ার বেচে মুনাফা তুলে নেওয়ার ধুম পড়ে। যার জেরে সূচক দ্রুত নেমে আসে।

এই মুহূর্তে বাজারকে উৎসাহিত করার মতো কোনও ঘটনাই নেই। বরং নানা কারণে চূড়ান্ত সংশয়ে লগ্নিকারীরা। বাজার বর্তমানে ‘বেয়ার’-দের দখলে চলে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেন ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন সভাপতি এবং স্টুয়ার্ট সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান কমল পারেখ।

কী কী বিষয় শেয়ার বাজারের প্রতিকূলে? কমলবাবুর জবাব, প্রথমত, কেন্দ্রে নতুন সরকার আসার পরে সবাই আশা করেছিল, এ বার বিশেষত পরিকাঠামো উন্নয়নে তারা খরচ শুরু করবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। দ্বিতীয়ত, সুদ বেশ কিছুটা কমবে বলে আশা ছিল। তাতেও আশাহত হয়েছে তারা। তৃতীয়ত, ম্যাট ও অন্য কিছু কর নিয়ে তৈরি হওয়া চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা।

ভারতের বাজারের রমরমা বেশ কিছু দিন ধরেই বিদেশি আর্থিক সংস্থার লগ্নির উপর নির্ভরশীল। কিন্তু আতঙ্কিত হয়ে ওই সব সংস্থা এখন টানা শেয়ার বেচছে। বুধবারও ৯১০ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে তারা। তবে বাজারের বড় মাপের পতন রুখে দিয়েছে ভারতীয় আর্থিক সংস্থাগুলির লগ্নি। তারা এ দিন প্রায় ২১৮ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছে।

তবে বাজারের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা আশাবাদী। তাঁদের মতে, এই পতন সাময়িক। বাজার দীর্ঘ মেয়াদে যে তেজী হবে, সে ব্যাপারে তাঁদের সংশয় নেই।

মহিলাদের সুদে ছাড় এইচডিএফসি-র। ‘ওম্যান পাওয়ার’ প্রকল্পে মহিলাদের জন্য গৃহঋণে সুদ ৯.৮৫ শতাংশে নামিয়ে আনল এইচডিএফসি। তবে সম্পত্তিটি আবেদনকারী মহিলার একার বা কারও সঙ্গে যৌথ মালিকানার হতে হবে। অন্যদের জন্য গৃহঋণে সুদ ৯.৯০%।

Sensex Nifty share market Business investor
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy